Sunday, October 28, 2012

বিভিন্ন সামাজিক ব্লগে প্রকাশিত পোষ্ট "সংবাদিকা" ব্লগস্পটে প্রকাশিত হল।

 বিভিন্ন সামাজিক ব্লগে প্রকাশিত পোষ্টগুলো আজ গুগুল ব্লগারে "সংবাদিকা" ব্লগস্পটে প্রকাশিত হল। এখন হতে যে সাইটেই লেখা প্রকাশিত হউক, একই সাথে এই ব্লগেও পোষ্ট করা হবে।

নতুন কোম্পানি আইন... বাকশালি আইনের ডিজিটাল সংস্করণ

ভালো বেতনের চাকুরী ছেড়ে নিজে কিছু করার চেষ্টা করছি। আমি রিস্ক নিয়েছি। বড় রিস্ক। আমার থেকে অনেক মেধাবী চাকুরী ছাড়ছেননা; আমি জানি তারা আমার থেকে আরও ভালো করত ব্যবসা করলে। কিন্তু তারা রিস্ক কিংবা কষ্ট করতে ভয় পাচ্ছে। তাদের সাথে আমার পার্থ্যক্যঃ আমি রিস্ক নিচ্ছি এবং আমি কষ্ট করছি। নিঃসন্দেহে শান্তিকালীন সময়ে চাকুরী হতে ব্যবসা করা অনেক কঠিন। আপনার চতুর্মুখী চিন্তা করতে হবে। আক্ষরিক অর্থেই ছুটি নাই, ঘুমানো ছাড়া।

ব্যাংক, ইন্ডিভিডুয়াল ইনভেস্টর, ক্লায়েন্ট, কাস্টমার, সাপ্লাইয়ার সর্বোপরি নিজ প্রতিষ্ঠানের স্টাফ (কর্মকর্তা, কর্মচারী, শ্রমিক), পার্টনার, এবং নিজে সেই সঙ্গে মার্কেট এবং কম্পেটিটর। সবার চিন্তা একসাথে। এই সাথে মানব, পরিবেশ এবং যন্ত্র । আসলে এত ঝামেলায় অনেকই যেতে চাননা। যারা উঁচু বেতনে কাজ করেন অথবা ঘুষ-উপরি কামান তারা চাকুরীর সাথে সাথে সাইলেন্ট ইনভেস্ট করেন অথবা শেয়ারে টাকা খাটান। কিন্তু একটা প্রতিষ্ঠান শুরু করে পরিচালনা করার সাহস কিংবা ইচ্ছা করেননা। একটা প্রতিষ্ঠান আন্টোপ্রেনিয়ার জন্য সন্তানের মতই। পরিকল্পনা –অর্থ সংস্থান– বাস্তবায়ন - বিপণন, চারটা শব্দ কিন্তু বিশাল কর্মযজ্ঞ সমস্ত কিছু ঢেলে তা করতে হয়।

এখন কারও প্রতিষ্ঠান এত ঝুঁকি নিয়ে দাড় করানোর পর যদি বাহিরের কেউ এসে নিয়ন্ত্রণ করতে চায় তাহলে কেমন লাগবে। বাংলাদেশ ব্যবসা করার জন্য পৃথিবীর অন্যতম কষ্টকর যায়গা আমলাতন্ত্রের অযৌক্তিক কালক্ষেপণ এবং পদে পদে ঘুষের ব্যাপকতা আছেই। তার উপর যদি এমন সম্বাভনা হয় যে যে কারও খবরদারি করার সুযোগ আসে তাহলে কেইবা ব্যবসা করার জন্য এগিয়ে আসবে।

রাষ্ট্রের নিজস্ব আইনের মধ্য মানুষের স্বাধীন ব্যবসা করার সুযোগ থাকতে হবে। যা “লেইজে ফেয়ার” নামে পরিচিত। রাষ্ট্র নিরাপত্তা দিবে, বিনিময়ে ব্যবসা থেকে তারা কর পাবে। ব্যবসাতে অনিয়ম হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবার আইন থাকতে হবে। কিন্তু ব্যবসা দখল করার ক্ষমতা যদি সরকারের হাতে থাকে (সরকার ট্যাক্সের টাকা বিনিয়োগ/বেইল আউট না করেও) দেশের অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়বে। এটা হল বাকশালি ব্যবস্থা। এমন হলে দেশে কেউ বিনিয়োগ করবেনা। কে ব্যবসা হারাতে চায়।

কোন পাবলিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (পুজিবাজারে তালিকাভুক্ত) অথবা যেসব প্রাইভেট সাধারণ মানুষ হতে বন্ড/সিকিউরিটি/ স্টক বেঁচে পুঁজি সংগ্রহ করে সেখানে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ দরকার কারণ বিশাল জনগোষ্ঠীর অর্থ বিনিয়োগ হয় যার নিয়ন্ত্রণ ঐ প্রতিষ্ঠানের কতিপয় পরিচালনা ব্যক্তির হাতে থাকে যাদের উক্ত বিনিয়োগকৃত অর্থের উপর নিজেদের দায়ও কম থাকে। তাই অবশ্যই এই দুই প্রকার প্রতিষ্ঠান যেন স্বচ্ছ ভাবে চলে তার ব্যবস্থা করতে হবে। এদের আইনি কাঠামো ভিন্ন হতে হবে এবং প্রয়োজনে সরকারি পরিদর্শক নিয়োগ দেয়া যেতে পারে। সরকার জনগণের ট্যাক্সের টাকা বিনিয়োগ কিংবা তা দিয়ে বেইল আউট না কর পর্যন্ত প্রশাসক নিয়োগ দেয়ার আইন থাকা উচিৎ নয়।

কিন্তু একটি সোল প্রপ্রাইয়েটরশিপ কিংবা যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে যেখানে হাজার হাজার মানুষের বিনিয়োগ থাকেনা তাতে যদি প্রশাসক বসিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা থাকে তাহলে কে ঝুঁকি নিয়ে বিনিয়োগ করতে যাবে; বিশেষ ভাবে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা অন্য দেশে বিনিয়োগ করবে যেখানে আইন আরও ব্যবসা বান্ধব। এসব প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি হলে প্রচলিত আইনেই ব্যবস্থা নিতে হবে।

দেশে প্রচলিত আইন আছে তা দিয়ে খুব সহজে ডেস্টিনির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারত এবং অনেক আগেই নিতে পারত। এত কাল ক্ষেপণের দরকার নেই। তাছাড়া পুজিবাজারের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের জোচ্চুরি সহজে ধরা যেত। পুজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া যায় কেননা তা পাবলিক প্রতিষ্ঠান; তাও ততক্ষণ পর্যন্ত দেওয়া উচিৎ নয় যতক্ষণ সরকার নিজে ঐ প্রতিষ্ঠানে জনগণের ট্যাক্সের টাকা বিনিয়োগ করে কিংবা বেইল আউট করে।

এখানে স্পষ্ট ভাবে প্রতীয়মান হচ্ছে সরকার সবধরনের কোম্পানির জন্য এই আইন করতে যাচ্ছে যা দ্বারা দুটি দিক উম্মোচন হয়ঃ

১। সরকারের আইন প্রণেতাদের আন্তর্জাতিক ব্যবসা এবং ব্যবসা এর আইনগত এবং প্রকার গত (বিজনেস এন্টিটি এবং বিজনেস মডেল ) কোন ধারনাই নেই। সোজা কথায় তাদের ব্যবহারিক জ্ঞানের অভাব “বকলম”।

২. সরকার সুযোগ বুঝে এক বাকশালীয় কালো আইন করতে যাচ্ছে যেন আইনের দোহায় দিয়ে যেকোনো সময় যেকোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যেকোনো কারণে কিংবা ভুয়া কারণে রাজনৈতিক কিংবা সরকারের "নাট-বল্টুদের" ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে এই আইন ব্যবহার করতে পারে।

একথা ভাবতে ফিনান্সিয়াল ইঞ্জিনিয়ার কিংবা ইকোনমিক এনালিস্ট হওয়া লাগেনা প্রাইভেট কোম্পানি ডেস্টিনি কিংবা হলমার্ক কিংবা স্টক কোম্পানি সামিট কিংবা বেক্সিমকোর হাজার হাজার কোটি টাকার ফটকামি-জালিয়াতিতে রাজনৈতিক দল এবং রাজনীতিবিদ কোন লাভের ভাগ পায়নি।

যেকোনো কোম্পানি আইন করার সময় সরকারকে অবশ্যই নিম্নোক্ত তালিকা মাথায় রাখতে হবে। পাইকারি ভাবে সব গুলোকে একসাথে ফেললে তা দেশের অর্থনীতিতে কোন মঙ্গল বয়ে আনবেনা, আইনে তো নয়ই।

সত্তা ভিত্তিক
#জয়েন্ট স্টক কোম্পানি / পাবলিক কোম্পানি
#পার্টনারশিপ (জেনারেল পার্টনারশিপ, লিমিটেড পার্টনারশিপ, লিমিটেড লাইয়েবিলিটি ইত্যাদি)
#সোল প্রপ্রাইয়েটরশিপ
#ফ্রঞ্চাইজি
#মিউচুয়াল

বিশেষায়িত কাজ
#প্রফেসনাল কন্সালটেন্সি ফার্ম এবং হাসপাতাল
#ব্যাংক এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান
#বিপজ্জনক পদার্থ / যন্ত্র প্রস্তুতকারক

অলাভজনক / সামাজিক প্রতিষ্ঠান
#নন প্রফিট কো-অপেরাটিভ
#সোস্যাল বিজনেস
#নন প্রফিট

এছাড়া,
প্রয়োজন অনুসারে আরও ভাগ করে আইন করা উচিৎ।
তাছাড়া,
"এম-এল-এম কোম্পানি" আইন করে বন্ধ করার সময় বোধয় এখন এসেছে

নতুন কোম্পানি আইন সংবাদ - ১

নতুন কোম্পানি আইন সংবাদ - ২


----------------------------------------XXXXX------------------------------------------------

 প্রবন্ধটি ২৩ শে অক্টোবর, ২০১২ সালে সমহোয়্যার ইন ব্লগে প্রকাশিত হয়েছিল।

সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে নাফিসের গ্রেপ্তার এবং কতিপয় বাংলাদেশীদের দৃষ্টিকটু কাঙ্গালিপনা

*এখন বাংলাদেশের কি হপে
*বাংলাদেশ তো ডুবল
*বাংলাদেশিরা ঝামেলায় পড়বে
*পরবর্তী আফগানিস্তান
*বাংলাদেশের রেপুটেশন খারাপ হবে
*প্রবাসী বাংলাদেশীদের সমস্যা হপে
*আমেরিকায় আর স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া যাবেনা

এমন কথায় এখন আন্তর্জালে ব্লগ কিংবা সামাজিক যোগাযোগ সাইট সরব। বিভিন্ন “শিক্ষিত” মানুষরা তাদের ভবিষ্যৎ অসুবিধার জন্য নাফিসকে দায়ী করছে। সেই সঙ্গে তারা নিজেদের ব্যাপক কাঙ্গালিপনা প্রকাশ করে দিচ্ছে। তাদের নাকি “মুসলিম মডারেট” পরিচয়ের ক্ষতি হবে।

মাঝে মাঝে মনে হয় কেন আমাদের প্রধান দুই দল পরস্পরের বিরুদ্ধে বিদেশীদের বিচার দেয়। আমাদের দেশের টিভির সবচেয়ে বড় তারকা বোধয় পশ্চিমা কূটনৈতিকরা, যেভাবে তারা এয়ার টাইম পান। পরে ভাবি, রাজনীতিবিদ কিংবা টিভী চ্যানেলের দোষ দিয়ে লাভ কি। প্রধান দুই রাজনীতিবিদদের তো দেেশর মানুষই নির্বাচন করে আর টিভিতে তদের উপস্থিতি মানুষ গুরুত্ব সহকারে
দেখে বলেই তাদের চ্যানেল কর্তৃপক্ষ দেখায়।

ভাবের মূর্তি

অপ্রিয় হলেও সত্য, বেশিরভাগ পশ্চিমা মনে করে আমাদের দেশের বেশিরভাগ বছরের বেশীরভাগ সময় পানির নিচে থাকে। চরম দরিদ্র।

বাংলাদেশের সবচেয়ে পরিচিত পাচটি ব্র্যান্ডঃ

ভৌগলিক-
১।গ্রামীণ ব্যাংক এবং ডক্টর ইউনুস (ইউরোপ- আমেরিকা)
২।বাংলাদেশ সামরিক শান্তি বাহিনী (আফ্রিকা)
৩।বাংলাদেশের শ্রমিক (মধ্য প্রাচ্য)

কার্যকরী-
১।ক্রিকেট দল (আন্তর্জাতিক খেলার জগত)
২।তৈরি পোশাক শিল্প ( ব্যবসা জগত)

আমাদের সরকার উপরোক্ত প্রতিষ্ঠানের রাজনীতিকরন করে বারোটা বাজাচ্ছে। তারপরও তারা ভোট পাচ্ছে।

আর সবচাইতে বড় কথা এসব কাঙ্গাল বাঙ্গালীরা সবাইকে নিজেদের মত মনে করে। যেমন ঢাকায় কিছু আফ্রিকান ফুটবলার কিংবা এক বছর আফ্রিকায় ডিউটি করে আসার পর গোটা আফ্রিকান জাতিকেই বিচার করে। অথবা কয়েকজনের জন্য পুরা কম্যুনিটিকে দোষারোপ করা। অনেকে মনে করে গোটা পশ্চিমা সমাজ রসাতলে গেছে; মনে করে হলিউডের মতই গোটা পশ্চিম। অনেকে ভাবে আরবদের ব্যাপক সমস্যা। এভাবে পাইকারি চিন্তা হল চিন্তার অগভীরতা এবং সল্পতা।


সৌদি, মিশরীয়, পাকিস্তানি, ভারতীয় কিংবা আফগানিরা পশ্চিমে বহাল তবিয়তে আছে এবং ব্যবসা বাণিজ্য করছে সুতরাং এই ঘটনা কারণে ভাবের মূর্তি ভেঙ্গে গেল, ভে্য ঙ্গে গেল রব তোলা হাস্যকর। আর আমাদের ভাবমুর্তি অনেক ভাবেই অনেক দিক দিয়ে ইতিমধ্যই নষ্ট হয়েছে। তাতে রাজাকার মৌলবাদী ইসলামি জঙ্গির সাথে সাথে সেক্যুলার "স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি" ও অনেক কাজ করেছে। বিচ্ছিন্ন ঘটনা কে পাইকারি ধরা বোকামি।

সর্বশেষ

যদি নাফিস আসলেই দোষী হয় তাহলে তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। ইতিমধ্যো বের হয়েছে নাফিসের সহযোগী হিসেবে আমেরিকান এক নাগরিক যে কিনা ককেশীয় বংশোদ্ভূত। সবচেয়ে ভালো লাগত একজন বাংলাদেশীর ট্রায়াল যদি বাংলাদেশে হত। এটাও দেখতে হবে সে কি আসলেই সন্ত্রাসবাদের সাথে দীর্ঘ পরিকল্পনায় সংযুক্ত নাকি পরিস্থিতি এবং সুযোগের জন্য এমন করেছে।

পুনশ্চ: অনেকেই মনে মনে অনেক বিপ্লবী কিছু করেতে চায় আবার ভুলেও যায়। এখন ঐ চাওয়ার সময় কেউ যদি উস্কানি এবং বাস্তবায়নের সুযোগ করে দেয় তাহলে কে বেশি দোষী।

এই খানে আইনের কয়েকটি ধারা বেশ আলোচনা হচ্ছে আগ্রহীরা দেখতে পারেনঃ

Sting operation
Entrapment
Frameup
Thoughtcrime
Patriot Act

সূত্রঃ নিউ ইয়র্ক টাইমস

Man Is Charged With Plotting to Bomb Federal Reserve Bank in Manhattan

F.B.I. Arrests 2nd Suspect In Bomb Plot Against Bank

---------------------------------------XXXXX------------------------------------------------

 প্রবন্ধটি ১৯ শে অক্টোবর, ২০১২ সালে  সালে সমহোয়্যার ইন ব্লগে প্রকাশিত হয়েছিল।

বিবাহ চুক্তি- চুক্তির অর্থনৈতিক দিক dowry, maintenance, alimony..




আমার এক ব্যবসায়িক অ্যাসোসিয়েট, আমার থেকে বয়সে বেশ কয়েক বছরের বড়, প্রায় ৩৪ বছর। একেবারে সেলফ মেইড, হাইলি প্রফেশনাল বিজনেস ম্যান (তবে পারিবারিক ভাবেও ওয়েল কানেক্টেড যা তিনি ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন) আমার সাথে ছাড়াও ওনার অন্যান্য দিকেও অনেক ব্যবসা আছে। নতুন বিয়ে করেছেন কয়েকমাস আগে, ওই পাত্রী আমেরিকার সিটিজেন যদিও পাত্রও সিটিজেন। বিয়ের রেজিস্ট্রেশন আমেরিকা এবং বাংলাদেশ দুই যায়গায়ই হয়েছে। উনার স্ত্রী উচ্চশিক্ষিত, ভালো চাকুরী করেন ব্যাংকে।

কিছুদিন আগে উনি কতগুলো কথা বলেছেন লাঞ্চ আড্ডার সময়, যা সত্যিই চিন্তার খোরাক যোগাচ্ছে। তাই শেয়ার করলাম-

ভাবীর সাথে যদিও উনার প্রায় ৫ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল (আমেরিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় প্রায় ২ বছর এক সঙ্গেও ছিলেন মানে লিভ টুগেদার )। গত বছর উনি বিয়ে করেছিলেন এবং বিয়ের আগে নাকি “বিয়ে-পূর্ব সমঝোতা” (prenuptial agreement) করেছেন। যদি ডিভোর্স হয় তাহলে সম্পত্তির কেমন ভাগ হবে তা নাকি ওই চুক্তিতে থাকে। ক্যালিফোর্নিয়ার আইন অনুযায়ী (উনাদের দ্বিতীয় রেজিস্ট্রেশন ওখানে হয়েছে) ডিভোর্সের পর সম্পত্তি যার যাই থাকুক ৫০/৫০ হারে দুপক্ষই পায়। তাই আগে ভাগেই তারা ঠিক করে রেখেছেন worst case scenario তে সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা কেমন হবে। তার কথা হল, তিনি যা ইনকাম করবেন তা থেকে তিনি সাবেক স্ত্রীকে (যদি বিচ্ছেদ হয়) পরবর্তী ভরন পোষণ দিতে রাজী; কিন্তু কোনমতেই তিনি উত্তারিধাকারসূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি সাবেক স্পাউসকে দিতে রাজী নন। আমার ধারণা অনুযায়ী, উত্তরাধিকার সূত্রে তিনি যত সম্পত্তি এবং ব্যাংক ব্যালেন্স পাবেন টাকার অঙ্কে নিশ্চিত ৯ ডিজিটের সংখ্যা পার হবে, যথেষ্ট ধনী পরিবারের সন্তান উনি।

আসলে ওই আইন শুধু ছেলেদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। বিচ্ছেদের সময় যদি স্ত্রীর সম্পত্তি বেশি থাকে, তাহলে সেই মহিলা তার সাবেক স্বামীকে তার সম্পত্তির সমান অংশ দিতে বাধ্য থাকবে। এমনকি সাবেক স্বামী যদি আরেকটা বিয়ে করে তারপরও দিতে হবে; যেমন বেশি অর্থশালী স্বামী তার সাবেক স্ত্রীকে দিতে বাধ্য। সমসাময়িককালে পশ্চিমে নাকি এটা এখন অহর অহর হচ্ছে, স্ত্রী তার সাবেক স্বামীকে ভরন পোষণ দিতে বাধ্য হচ্ছেন আইনের কারণে; কর্মজীবনে স্বামী থেকে সফল অনেক মহিলার এটা পছন্দ নয়। নারীরা যে অনেক ক্ষেত্রে আক্ষরিক অর্থেই “কর্মজীবনে সফলতার” দিক দিয়ে পুরুষ এমনকি নিজ স্বামীকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে এটা একটা প্রমাণ। তবে অনেক পুরুষের মতই অনেক নারীই এতে বেজায় নাখোশ, কার ভালো লাগে সাবেক স্বামীকে নিজের কষ্টার্জিত টাকা দিতে। যদিও এটা সমঅধিকারের একটা ভিত্তি। আবার অনেক পুরুষও এটা সেচ্ছায় নেয়না, আত্মমর্জাদার জন্য যেমন আনেক নারী তার সাবেক স্বামী হতে কোন সম্পত্তি নেননা, যদিও এর সংখ্যা অনেক কম।

আমাদের দেশে সিভিল আইন কেমন আমার জানা নাই। তবে যতটুক জানি, ইসলামিক আইন অনুযায়ী, স্ত্রীর কোন সম্পত্তিতেই স্বামীর কোনই হক নেই। বিয়ের সময় দেনমোহর তো আছেই, বিয়ের পর স্বামী সংসারের খরচ চালাতে বাধ্য এমনকি বিয়ে বিচ্ছেদ হলে স্বামী তার স্ত্রীকে খোরপোশ দিতে বাধ্য, সাবেক স্ত্রী যত ধনী হোক না কেন। কমন সিভিল বিয়েতে এক্ষেত্রে দুজনেরই দায়িত্ব সমান সমান।

এখন মনে হচ্ছে বিয়ে একটা অর্থনৈতিক ভেঞ্চার, দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ। যে যতই বুদ্ধিবৃত্তিক বড় বড় কথা বলুক না কেন, বিয়ে শুধুই দ্বিপাক্ষিক চুক্তি। এটা শুধুই ভবিষ্যৎ বংশধর বৃদ্ধি করে নিজ জিন প্রসার করার জন্য সেই সঙ্গে বিপদে আপদে কারও loyal সান্নিধ্য প্রাপ্তি, সহায়তা লাভ এবং সামাজিক স্বীকৃত জৈবিক সংগ পাবার জন্য জন্য দুই বিপরীত লিঙ্গের মানুষের মধ্য একটা সামাজিক চুক্তি, যার সাক্ষী হল সমাজের অন্যান্য মানব সদস্য। যদিও পশ্চিমে অনেক দেশে বিয়ের জন্য বিপরীত লিঙ্গ বাধ্যতামূলক নয় B:-) B:-) । অন্যান্য যেকোনো চুক্তির মতই এই চুক্তি যেকোনো সময় ভেঙ্গে যেতে পারে, কেননা এটা অলঙ্ঘনীয় নয়। ভাঙ্গার পর কি হবে তা মূলত চুক্তির শর্ত এবং প্রচলিত আইন অনুযায়ী ঠিক হয়।

সুতরাং, অন্যান্য চুক্তির করার মতই এই চুক্তি করার সময়ই চুক্তি ভাংলে কি হবে বিষয়টি মাথায় রাখা প্রয়োজন। এক্ষত্রে অপর পক্ষের কতগুলো বিষয় মাথায় রাখা উচিত যেমন- স্বভাব-চরিত্র, আচার ব্যবহার, নমনীয়তা, সহনশীলতা, আত্মমর্যাদা বোধ, শারীরিক অবস্থা –সুস্থতা, শিক্ষা, ব্যক্তিগত অতীত ইতিহাস, ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড, সামাজিক মর্যাদা, পারিবারিক অবস্থা, এবং সর্বশেষে শারীরিক সৌন্দর্য। শারীরিক সৌন্দর্য অবশ্যই সবার শেষে, কেননা যে যত যাই বলুক, ৩০ এর পর মেয়েদের আসলে ন্যাচারাল সৌন্দর্য কমতে থাকে, কমবেই, বিশ্ব সুন্দর ঐস্বরিয়া রয়েরই নাই ( যতটুকু জানি প্রায় ৪ বারের উপর তাইনে কসমেটিকস সার্জারি করিয়েছেন, এখন যা দেখা যায় তা কৃত্রিম সৌন্দর্য :P :P ) তেমন ছেলেদের বেলতেও একই কথা, হ্যান্ডসামনেস কে কিংবা টাকা-পয়সাকে সবার আগে প্রাধান্য দেওয়া বোকামি =p~ =p~ । সবার প্রথমে নিশ্চিত ভাবে আচার-আচরণ-স্বভাব-চরিত্র।

সমাজে অনেক নারীপুরুষই টাকার লোভে, ব্যবসায়ীক সুবিধা কিংবা চাকুরীর বিনিময়ে বিয়ে করে। তাদের কথা আলাদা। তারা তাদের নূন্যতম আত্মমর্যাদা সেচ্ছায় বাদ দিয়েছে। তবে আমি দেখেছি বেশিরভাগ নারী পুরুষই বিয়ের সময় অপর পক্ষের সম্পত্তির কথা চিন্তা করেনা। সবাই প্রথমে দেখে ওই স্বভাব-চরিত্র।

হিসেব করে দেখলাম, আমি যদি এখনই সামাজিক ভাবে বিয়ে করি, সব মিলিয়ে নূন্যতম প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা খরচ হবে; ইসলামিক নিয়মে দেনমোহর নূন্যতম যদি ১০ লক্ষ টাকাও ধরি। সুতরাং, এই পরিমাণ অর্থ এই সময় বিয়ে চুক্তিতে ব্যয় করার চেয়ে ব্যবসায় বিনিয়োগ করা লাভ জনক। সবচাইতে বড় কথা, এখন বিয়ে করতে হলে আমাকে পরিবার হতে টাকা নিতে হবে। উল্লেখ্য, আমার ওই ব্যবসায়ীক পার্টনারের প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে, যদিও উনার দুই যায়গায় আনুষ্ঠানিকতা করতে হয়েছে। আমি চাই নিজের বিয়ের খরচ নিজে বহন করতে। ভবিষ্যতে ইনশাল্লাহ অবশ্যই পারব।

আসলে সরকারী / মাল্টিন্যাসনাল চাকুরী ব্যাতীত ৩০ এর আগে নিজ খরচে বিয়ে এবং বিয়ে পরবর্তী বসবাস করাটা একটু কষ্টের হয়ে যায়; আর যারা নতুন ব্যবসা বানিজ্য করেছেন তাদের জন্য ব্যাপারটা আসলেই রিস্কি; নিজের জন্য এবং যাকে জীবন সঙ্গী করা হবে তার জন্য আরও বেশি। কেননা ব্যবসাতে নিজের ভাগ্য নিয়ে প্রতিনিয়ত খেলতে হয়, নিশ্চিত বলে কিছু নেই; সব chaotic। তবে এর ফল চাকুরী হতে অনেক মধুর। এখানে আলোচনায় আমি ঘুষখোর চাকুরীজীবী এবং অবৈধ ব্যবসার ব্যবসায়ীদের কথা বলিনি, তাদের কথা আলাদা।

আসলে কোন কাজের নিয়তি সবচাইতে গুরুত্বপূর্ন। ভালো নিয়ত নিয়ে কোন কাজ করলে তার ফলাফল আল্লাহর রহমতে সবসময়ই ভালো হয়।

----------------------------------------XXXXX------------------------------------------------

 প্রবন্ধটি ৩০ শে আগস্ট, ২০১২ সালে সমহোয়্যার ইন ব্লগে প্রকাশিত হয়েছিল।

সং!ব্যাঃ!ধিক! শ্যামল-নাইম জুটির খিস্তি খেউড়




 ছবিঃ ফিউশন ফাইভ


ডঃ!! মাহপুজের পৃষ্ঠপোষকতায়, দেশনেত্রীর!! মূল ভাবনায়.... গতকালের ATN Bangla news hour extra তে পরজীবী সং-ব্যাঃ-ধিক এবং পত্রিকার ছুম-পাদক শ্যামল দত্ত এবং নাইমুর রহমান যেভাবে ডঃ ইউনুসকে নিয়ে নির্লজ্জ খিস্তি খেউড় করলেন তা আসলেই নির্লজ্জতাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে.....

শ্যামল-নাইমের কিছু শব্দচয়নঃ গোঁয়ার, কত নোবেল প্রাপ্ত ব্যাক্তি জেল খাটছে, ধৃষ্টতা ইত্যাদি..........

পরজীবী সং বা দিক শ্যামল-নাইমকে


দেখলাম শ্যামল-নাইমের গোমর অনেক আগেই ফাঁস হয়ে গিয়েছে, ব্লগে নতুনদের জন্য শেয়ার করলামঃ

যেভাবে নগ্ন হলেন দৈনিক আমাদের সময়ের সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান - ১

নাঈমুলের ছিঁচকে সাংবাদিকতা : ইউনূসকে নিয়ে ইতরামি, এরশাদের পদলেহন, ইজরায়েল প্রেম আর ধারাবাহিক মতলববাজি

কিছু মধ্যবিত্তের মানসিক দৈন্যতা এবং হিপোক্রেসী... প্রসঙ্গঃ বিয়ে....

কয়েকদিন ধরে লক্ষ্য করছি ব্লগে বিয়ে নিয়ে অপচয়ের কথাটি উঠে আসছে। পয়সা ওলা কিংবা ধনীরা বিয়েতে অতি খরচ করছে যা অমানবিক। বাংলাদেশের বেশিরভাগ ধনীরাই বাঁকা পথে পয়সা করেছে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। তবে আলোচনা সেটা না।


আলোচনা “বিয়েতে এত বেশি খরচ করা কি অমানবিক, যেখানে দেশের অনেক মানুষ দিনে দু মুঠো খেতে পারেনা”।

আমার দৃষ্টিতে এবং আমি নিজে যদি অনেক ধনী হই করবোনা।

এখন, এর সমালোচনা করার নৈতিক অধিকার কি মধ্যবিত্তের আছে?
নেই
কেন নেই?
প্রথমত এটা হিপোক্রেসির চরম পর্যায়।

কেন হিপক্রেসি
• আপনি ধানসিঁড়ি কিংবা চিলিসে খেয়ে বলতে পারেননা বীথিকা কিংবা সাবলাইমে খাওয়া অপচয়।
• আপনি গার্লফ্রেন্ডের জন্য ২০০০ টাকায় পারফিউম কিনে বলতে পারেননা ৩০০০০ টাকার পারফিউম কেনা অপচয়।
• বৌয়ের জন্য ১০ হাজার টাকায় শাড়ী কিনে বলতে পারেননা ১০০০০০ টাকায় শাড়ী কেনা অপচয়।
• ৫০০ টাকার জিলেট আফটারশেভ ব্যবহার করে বলতে পারেননা ৬০০০ টাকার শেনেল আফটারসেভ ব্যবহার করা অপচয়।
• ক্যাটস আই কিংবা এক্সটাসিতে গিয়ে ৫০০ টাকার সার্ট ২৫০০ হাযার টাকায় কিনে বলতে পারেননা ২৫০০০ হাজার টাকার আর্মানী শার্ট কেনা অপচয়।
• ২০০০-৩০০০ টাকায় জিনস কিনে কইতে পারেননা ৫০০০০ টাকায় জিনস কেনা অপচয়।
• ৫০০০-১০০০০ টাকায় কোট-ব্লেজার সিলায়া বলতে পারেননা ৫০০০০০ টাকায় ব্রিওনি কোট ব্লেজার কেনা অপচয়
• ২০০০-৫০০০ টাকার জুতা কিনে কইতে পারেননা ৪০০০০ টাকায় জুতা কেনা অপচয়।
• সিটি কর্পোরেশনের কমিউনিটি সেন্টারে বিয়া কইরা কইতে পারেননা গলফ ক্লাব কিংবা রেডিশন হোটেলে বিয়া করা অপচয়।
• কক্সবাজারে গিয়া ৫০০০ টাকা উড়াইয়া (মদ, নাইট ক্লাব) আইসা কইতে পারেননা হাওয়াইতে যাইয়া এক সপ্তাহে ২৫০০০০০ টাকা খরচ করা অপচয়।
• বিয়েতে নিজে সাউন্ড সিস্টেম/ডিজে ভাড়া কইরা আপনি কইতে পারেননা বিদেশ হতে শিল্পী ভাড়া করা অপচয়।
• বিয়ের জন্য দামী গাড়ী এবং বাস ভাড়া করে বলতে পারেননা হেলিকপ্টার ভাড়া করা অপরাধ।

কারণ

• অনেক কম রেটে খাওন যায় ঢাকায়।
• অনেক কম মূল্য দেশীয় পারফিউম পাওয়া যায়।
• ১০০০০ টাকায় শাড়ী কেনার মত বিলাসিতা অনেকে দেখাতে পারেনা।
• আমাদের দেশের অনেক কোম্পানি আফটার শেভ প্রস্তুত করে।
• ৫০০-১০০০ টাকায় আসলেই খুবই ভালো মানের সার্ট পাওয়া যায়, ব্রান্ড লেভেল ছাড়া।
• অনেক কম টাকায় ভালই জিনস পাওয়া যায়।
• বেশিরভাগ মানুষেরই নতুন কোট ব্লেজার কেনার সামর্থ্য নাই।
• ১-১৫০০ টাকায় যথেষ্ট ভালো জুতা পাওয়া যায় তবে নন ব্র্যান্ড।
• দেশের অনেক মানুষের এখনো কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ে করার সামর্থ্য নেই।
• দেশের বেশিরভাগ মানুষের কাছেই আরাম ভ্রমণ অপচয় যেখানে তাঁরা ঠিকমত মৌলিক চাহিদা মেটাতে পারেনা।
• ওই নাচ গান আসলেই বাহুল্য।
• অনেকে বিয়েতে একেবারে সামান্য প্রয়োজনীয় গাড়ীও ভাড়া করতে পারেনা।

অর্থাৎ সবাই যার যার মত বিয়েতে খরচ করে। সুতরাং কে কিসে কত খরচ করল এটা যার যার নিজের ব্যাপার।এসব নিয়ে মন্তব্য করা নির্লজ্জতা এবং বেহায়াপনা।

শুধু দুটি বিষয় নিশ্চিত হওয়া যেতে পারে
১. এইসব আয়োজন করার সময় সরকার নির্ধারিত কর প্রদান করা হচ্ছে-কিনা।
২.দুর্নীতি বিষয়ক তদন্ত করা যেতে পারে, যেমন আয়ের উৎস
কিন্তু কোনমতেই খরচ করা ভালো না খারাপ ওটা নিয়ে বলা যাবেনা। তা তাদের একান্ত নিজস্ব ব্যাপার।

পুনশ্চঃ অনেক ভাবুক মক্কেল বড় বড় কথা কয়। দেশ ও জাতি নিয়া কিন্তু নিজে ৮ টাকার সিগারেট টাইনা দিনে ২০০ টাকার বেশি অপচয় করে।

----------------------------------------XXXXX------------------------------------------------

 প্রবন্ধটি ০২ রা জুলাই, ২০১২ সালে সমহোয়্যার ইন ব্লগে প্রকাশিত হয়েছিল।

নোবেল পুরুস্কারের সাতকাহন..........





যাদের নোবেল পুরস্কার না দিতে পেরে নোবেল পুরস্কার নিজেই বিব্রতঃ


মহাত্মা গান্ধীঃ পাঁচ বার মনোনীত হয়েছেন। ১৯৪৯ সালে হঠাত হত্যাকাণ্ডের স্বীকার হলে নোবেল কমিটির টনক নড়ে, একটু বেশিই দেরি হয়ে গিয়েছিল। ১৯৪৯ সালে অন্য অনেকে পাবার যোগ্য হলেও ওই বছর শান্তিতে পুরস্কার কাওকেই দেওয়া হয়নি। কারণ নোবেল কমিটি সত্যি বিব্রত হয়ে গিয়েছিল।

নিকোলাস টেসলাঃ যারা তড়িৎ প্রকৌশল কিংবা পদার্থ বিজ্ঞানে পড়ালেখা করেছেন তারা জানেন তাঁর কথা। গোটা আধুনিক প্রাক্টিক্যাল পাওয়ার এবং ট্রান্সমিশন ইঞ্জিনিয়ারিং এর ভিত্তি তিনি করে গিয়েছেন। তিনি শুধু উদ্ভাবক ছিলেননা একাধারে বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশলীও ছিলেন। তাঁর করে যাওয়া পাওয়ার ট্রান্সমিশন, ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি, শুধু উন্নয়ন হয়েছে। সেই সাথে তিনি আক্ষরিক আর্থেই রেডিওর আবিষ্কারক।

লিও টলস্তয়ঃ ওয়ার এন্ড পিস খ্যাত বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক এবং সম্ভবত আজ পর্যন্ত জন্ম নেওয়া শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক।

মার্ক টোয়াইনঃ আধুনিক আমেরিকান উপন্যাসের পুরোধা যেমন বঙ্কিম চন্দ্র বাংলা উপন্যাসের। বিশ্বরে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক এবং ছোট গল্পকার। খুব কম শিক্ষিত মানুষই আছেন যারা তার বিখ্যাত শিশুতোষ হাকালব্যারী ফিন কিংবা টমসয়ার পড়েননি।

ডিমিত্রি মেনদেলেভঃ মেন্ডেলেফ পিরিয়ডিক টেবিলকে এমনভাবে সংশোধন করেছেন যেন যেকোনো অনাবিস্কৃত মৌল পদার্থের মৌলিক বৈশিষ্ট্যর ধারনা পাওয়া যায়। তিনি যেসব ঘর খালি রেখেছিলেন সেসব ঘর এখন পূর্ণ, এখনো একেবারে একবিংশ শতাব্দীতে আবিস্কৃত অনেক মৌল কয়েকটি ঘর ফাকা রেখে পরে বসানো হয়েছে। পিরিয়ডিক টেবিল আক্ষরিক অর্থেই রসায়ন গবেষণার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। নোবেল কমিটি ওই সময় এর গুরুত্ব টের পায়নি।

আয়ালবার্ট স্কার্টজঃ গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া বিধ্বংসী বিশেষত টিউবারকোলসিস রোগের প্রতিষেধক আবিষ্কারক। এর আগের আবিষ্কৃত পেনিসিলিন শুধু গ্রাম পজিটিভ ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকরী ছিল।

লইস মেইটনারঃ নিউক্লিয়ার ফিসনে গবেষক, যিনি প্রস্তাবনা করেছিলেন নিউক্লিয়ার ফিসনের সময় হারানো ভর শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।

গিলবার্ট লুইসঃ কভ্লেন্ট বন্ড সহ আরো অনেক কিছুর আবিষ্কারক, বহুবার বার মনোনীত কিন্তু পুরস্কার পাননি।

পুরস্কার পাননি তবে তাদের গবেষণার উপর ভিত্তি করে অন্যরা পেয়েছেন পরবর্তীতেঃ

সত্যন্দ্রতাথ বোসঃ ১৯২০ বোস আইস্টাইন তত্ত্বের যৌথ-আবিষ্কারক । ২০০১ সালে এটার উপর গবেষণা করার কারণে অন্যদের পুরুস্কৃত করা হয়।

ডগ্লাস প্যাশারঃ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন আবিষ্কার করেছিলেন সেই ১৯৮০র দশকে। তাঁর গবেষণার ভিত্তি করে কাজের জন্য পরে তিন জন ২০০৮ সালে নোবেল পান এবং তাঁরা প্যাশনারের অবদানের কথা অকপটে স্বীকার করেছেন।

জুলিয়াস লিলেনফিল্ডঃ ১৯২৮ সালের তার পেপারের উপর ভিত্তি করেই ১৯৫৬ সালে বাই পোলার জাংশন ট্রানজিস্টার উদ্ভাবনের জন্য নোবেল দেওয়া হয়।

অস্কার হেইলঃ ১৯৩৬ সালেই ফিল্ড ইফেক্ট ট্রানজিস্টার আবিষ্কার করেছিলেন। তাঁর পেপারের সাহায্য এই ফিল্ড ইফেক্ট ট্রানজিস্টারের উন্নয়ন করে পরে অন্যরা নোবেল পান।

চাং ইয়াও চাওঃ (১৯৩০) তার গবেষণার উপর ভিত্তি করে পজিট্রন আবিষ্কারের জন্য ১৯৩৬ সালে অপর আরেকজন পুরস্কৃত হন।

হারম্যান ওয়াই কারঃ (১৯৫০): ব্যবহারিক এম আর আই ডিজাইন করেন যদিও তখন এটা ততটা স্বীকৃত পায়নি। ২০০৩ সালে অপর দুইজন পুরস্কার পান যারা তারই গবেষণার উপর ভিত্তি করেই আধুনিক এমআরআই ডিজাইন করেছিলেন।

যাদের নোবেল পুরস্কার দিয়ে নোবেল পুরস্কার প্রশ্নবিদ্ধঃ


হেনরি কিসিঞ্জারঃ ১৯৭৩ সালে শান্তিতে। ভিয়েতনাম যুদ্ধ খ্যাত লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর জন্য সরাসরি দায়ী। বাংলাদেশের ইতিহাসের কালো অধ্যায়ে তার নাম জড়িয়ে আছে।

আইজ্যাক রবিনঃ ১৯৯৪ তে শান্তিতে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসীর জনক। হাজার হাজার প্যালাস্টানীয় মৃত্যর জন্য দায়ী।

শিমন প্যারেজঃ ১৯৯৪ তে শান্তিতে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসীর জনক। হাজার হাজার প্যালাস্টানীয় মৃত্যর জন্য দায়ী।

কর্ডেল হালঃ ১৯৪৫ সালে শান্তিতে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে নিরাপদ গন্তব্যে যাওয়া ইহুদী শরণার্থী জাহাজ জার্মানিতে ফিরিয়ে দেবার মূল কুশীলব। ওই জাহাজের অনেক মানুষ নাৎসি হত্যাকান্ডের স্বীকার।

মেনাহিম বেগানঃ ১৯৭৮ সালে শান্তিতে। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসীর জনক। হাজার হাজার প্যালাস্টানীয় মৃত্যর জন্য দায়ী।

তাদের কি কারণে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে তা অনেকে বুঝতে পারেননাঃ

বারাক ওবামাঃ ২০০৯ সালে শান্তিতে। চামচা এবং অ্যাডমায়ারারদের অতি উৎসাহের ফল। ওবামা নিজেও নিশ্চিত নন তিনি কেন পেয়েছেন। হয়ত ভবিষ্যৎ কোন কাজের জন্য আগাম পুরস্কার প্রদান।

আল গোরঃ ২০০৭ সালে যৌথ ভাবে শান্তিতে। তিনি পরিবেশ আন্দোলনের জন্য পেয়েছেন। কিন্তু সমস্যা হল তাঁর মত আরও অনেকেই এমন আন্দোলন করছে। তাঁর সুবিধা ছিল তিনি আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট। তাঁর অনেক অ্যাডমায়ারার ওই নোবেল কমিটির মেম্বার ছিলেন। তিনি পরিবেশ বিষয়ক একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র তৈরি করেছিলেন কিংবা প্রযোজনা করেছিলেন এবং সেখানে বর্ণনা করেছেন “পরিবেশ বিপর্যয়ের কথা এবং এর সম্ভাব্য ফলাফল” যার জন্য তিনি অস্কার পান এবং পরে নোবেলও। যদিও তিনি পরিবেশ বাচাতে চান তাঁর আপন সুযোগ সুবিধার ব্যাপারটা ঠিক রেখে। তার বিরুদ্ধে অনেক গুলো অভিযোগগুলোর একটি হল তাঁর বাসভবনের বিলাস ব্যবস্থার জন্য অতিরিক্ত বিদ্যুৎ অপচয় ।

ওয়াঙ্গারি মাথাইঃ ২০০৪ সালে শান্তিতে। তাঁর কথা মনে হলেই আমার আমাদের দেশের কতগুলো লোকের কথা মনে পরে যায়। যাদের বৃক্ষ রোপণ তাঁর থেকেও বেশি। তিনি মূলত তাঁর নিজ দেশে গাছ লাগানোর আন্দোলনের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন। যাই হোক, তিনি আরও বিশ্বাস করেন HIV AIDS মূলত পশ্চিমা বিজ্ঞানীদের আফ্রিকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র; ব্যাপারনা একটু একটু কুসংস্কার থাকতেই পারে।

জিমি কার্টারঃ ২০০২ সালে শান্তিতে। তিনিও সাবেক আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। তিনি যে ঠিক কি কারণে পুরস্কার পেয়েছেন তাও অস্পষ্ট।

রিগবেরতা মেঞ্ছুঃ ১৯৯২ সালে শান্তিতে। তিনি তাঁর অভিজ্ঞতার উপর একটি আত্মজীবনী লিখেছিলেন। তবে সাহিত্যে না পেয়ে শান্তিতে পেয়েছেন। অন্যান্য অনেক আত্মজীবনীর মতও ওখানে টুকটাক অতিকথন ছিল। যাই হোক নোবেল কমটি তখন বিষয়টি খেয়াল করেননি।

মিখাইল গর্বাচেভঃ ১৯৯০ সালে তিনি শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন । সন্দেহ নেই তিনি পশ্চিমা দুনিয়ায় শান্তির বন্যা নিয়ে এসেছেন তবে তাঁর আপন মাতৃভূমির চরম ক্ষতি করে। তিনি আক্ষরিক অর্থেই উত্তর আমেরিকা, উত্তর এবং পশ্চিম ইউরোপীয় দেশ গুলোর চিন্তা অর্ধেক কমিয়ে দিয়েছিলেন। সুতরাং তাকে পশ্চিমারা শান্তি পুরস্কার না দিয়ে আর কাকে প্রদান করবে।

জন ম্যাকলোল্ডঃ ১৯২৩ সালে গবেষণা না করেই ফ্রেড্রিক ব্যান্টিঙ্গের সাথে যৌথ ভাবে চিকিৎসা শাস্ত্রে পুরুস্কৃত; একেবারে মুফতে পুরুস্কার। তিনি ব্যান্টিঙ্গকে ল্যাব ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন কিছু সময়ের জন্য।

ইয়াসির আরাফাতঃ ১৯৯৪ সালে শান্তিতে। কি শান্তি এনেছেন তা অনিশ্চিত।

নোবেল প্রাইজ ভুলঃ

কার্ল ভন ফ্রিঞ্জঃ ১৯৭৩ সালে চিকিৎসা। মৌমাছির জীবন নিয়ে একটি তত্ত্বের জন্য পুরষ্কৃত হন। তত্ত্বটি পরে ভুল বলে প্রমাণিত হয়।

এন্টোনিটয় ইগাজ মোনিজঃ ১৯৪৯ সালে চিকিৎসা। তার উদ্ভাবিত “লোবটোমি” শল্য চিকিৎসা পদ্ধতি যার জন্য পুরুস্কার পেয়েছিলেন তা পরবর্তীতে শল্য চিকিৎসায় বাতিল হয়।
জোহান ফিবজারঃ “স্পাইরোপেট্রা কারসিনোমা” নামক প্যারাসাইটের কারণে ক্যান্সার হওয়ার কারণ “আবিষ্কার” করার কারণে নোবেল পুরস্কার পান ১৯২৬ সালে চিকিৎসায়। তাঁর সেই আবিষ্কার এখন চিকিতসা সমাজে বাতিল।

এনরিকো ফার্মিঃ ১৯৩৮ সালে পদার্থ বিজ্ঞানে। নিউক্লিয়ার ইরিডেশনের মাধ্যমে নতুন মৌল অবস্থানের “আবিষ্কার” করার জন্য পান যা পরে ভুল প্রমাণিত। যদিও তাঁর অন্য কয়েকটি আবিষ্কারের জন্য তিনি নোবেল পুরস্কারের যোগ্য ছিলেন।

স্ট্যানলি প্রুশিনারঃ ১৯৯৭ সালে চিকিৎসা। প্রাইয়োন আবিষ্কারের জন্য। এটা রোগের কারণ না অন্যান্য রোগের উপসর্গ তা এখনো বিতর্কিত।

সরকারি নিষেধাজ্ঞার জন্য যারা নোবেল প্রাইজ ঠিক সময়ে গ্রহণ করতে পারেননিঃ

নাৎসি জার্মানিতে ৪ জন বিজ্ঞানীঃ কার্ল ওসেটজকি (১৯৩৫ শান্তি), গেরহার্ড ডোমাগ (১৯৩৯ চিকিৎসা),রিচার্ড কান (১৯৩৮ রসায়ন), আয়ডোলফ বুটেনালফ (১৯৩৯ রসায়ন) এবং সোভিয়েত ইউনিঊনে বরিস প্যাস্টারনার্ক (১৯৫৮ সাহিত্য) সরাসরি সরকারি নিষেধাজ্ঞার জন্য সঠিক সময়ে পুরুস্কার গ্রহণ করতে পারেননি। তবে তাদের প্রত্যকেই বিভিন্ন ভাবে পুসুকার গ্রহণ করেছিলেন।

নোবেল প্রাইজকে যারা থোরাই কেয়ার করেছেনঃ

জন প্ল সাত্রেঃ ১৯৬৪ সালে সাহিত্যে পুরুস্কার পেয়েছিলেন কিন্তু নিতে অস্বীকার।

লি ডাক থোঃ ১৯৭৩ সালে শান্তিতে পেয়েছিলেন, তবে তিনি যুক্তি দেখিয়েছিলেন তাঁর দেশ ভিয়েতনামে শান্তি আসেনি তাই তিনি পুরুস্কার নিতে অপারগতা দেখিয়েছিলেন।

নোবেল পুরস্কার এবং বিজ্ঞানীদের জ্ঞানময় বৈশ্বিক জোচ্চুরি এবং হঠকারিতাঃ

মেল্ভিন ক্যালভিনঃ ১৯৬১ সালে রসায়ন শাস্ত্রে। তিনি এন্ড্রু জনসন এর সাথে তাঁর যৌথ গবেষণা পত্রটি নিজনামে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করে দেন। যদিও পরে জনসনের আইনি ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর এই নীচ কৃতকর্মের কথা স্বীকার করেন এবং এন্ড্রু জনসনকে স্বীকৃতি দিতে এবং নোবেল জ্যে প্রাপ্ত অর্থের অর্ধেক তাঁকে দিতে বাধ্য হন।

সেলম্যান ওয়াকস্ম্যানঃ ১৯৫২ সালে চিকিৎসায়। তিনিও অ্যালবার্ট সার্টজ এর সাথে তাঁর যৌথ গবেষণা নিজের নামে চালিয়ে দেন। পরে আইনি লড়াইয়ে বাধ্য হন অ্যালবার্ট সার্টজ এর অবদানকে স্বীকার করে নিতে।

কার্লো রুবিয়াঃ ১৯৮৪ সালে পদার্থ বিজ্ঞানে। সার্ন (CERN – ইউরোপীয় নিউক্লিয়ার গবেষণা সংস্থা) এর বিভিন্ন টিম এর একটির নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। অন্য একটি টিমকে গবেষণা প্রকাশ না করে আরও বিস্তারিত আবিষ্কারের পর তা প্রকাশ করতে অনুরোধ করেন; তারা সরল বিশ্বাসে এমন করলে তিনি নিজেই কিছুদিন পর নিজ নামে ওই একই গবেষণা পত্র আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করে দেন এবং ওটার উপরই তাঁকে নোবেল দেওয়া হয়।

গুগ্লিয়েমো মার্কনিঃ ১৯০৯ সালে পদার্থ বিজ্ঞানে। তিনি মোট দুজন বিজ্ঞানীর সাথে জোচ্চুরি করেছেন; নিকোলাস টেসলা এবং জগদীশ চন্দ্র বসু। দুজনই তাঁর আগে রেডিও/ তারহীন যোগাযোগ ব্যবস্থার সফল ব্যবহারিক প্রদর্শন করেন। এমনকি টেসলা মার্কনির আগেই তাঁর প্যাটান্ট জমা দেন (দুঃখজনক ভাবে বসু ঐসময় প্যাটান্টে আগ্রহী ছিলেননা যদিও পরে করিয়েছিলেন)। মার্কনি তাঁর পরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমে টেস্লার প্যাটেন্ট আটকে দেন এবং নিজেরটা আগে পাস করিয়ে নেন। যদিও অন্যায় ধামাচাপা দিয়ে রাখা যায়না। ১৯৪২ সালে আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট রেডিও আবিষ্কারের প্রথম অফিসিয়াল কৃতিত্ব টেস্লাকে প্রদান করে।

নোবেল পুরুস্কার নিজেই যেখানে প্রশ্ন বিদ্ধঃ

আলফ্রেড নোবেল তাঁর উইলে পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন শাস্ত্র, শরীর বিদ্যা এবং চিকিৎসা শাস্ত্র, শান্তি এবং সাহিত্য পুরস্কার দেবার ইচ্ছা প্রকাশ করে গিয়েছিলেন। অর্থনীতির কথা তিনি কোথাও উল্লেখ করেননি। ১৯৬৯ সালে সুইডিশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইচ্ছায় অর্থনীতিতেও “নোবেল পুরস্কার” দেওয়া শুরু হয়। তখন এর নাম দেওয়া হয়েছিল “আলফ্রেড নোবেলের তরে উৎসর্গীকৃত স্মৃতি পুরস্কার”। এর পরে আরও ৮ বার এর নাম পরিবর্তন করা হয়। এবং বর্তমান নাম “আলফ্রেড নোবেল স্মৃতি ভ্যারিজ রিকজ ব্যাংক অর্থনীতি পুরস্কার”। এছাড়া নোবেলের পরিবারের উত্তরসূরি আইনজীবী পিটার নোবেল অর্থনীতিতে পুরস্কার দেওয়ার সমালোচনা করে বলেছিলেন এটা “নোবেল” পরিবারের পারিবারিক নামের অপব্যবহার। অন্যান্য ৫ টি ক্ষেত্রে পুরস্কারকে শুধু “নোবেল পুরস্কার” হিসেবে পরিচয় দেওয়া হয়।

আবার উল্টো ভাবে বললে, অনেকে সমালোচনা করেন, গণিতের জন্য কোন নোবেল পুরস্কার নেই এবং এই বিষয়ে দেওয়া উচিত।

পুনশ্চঃ

অর্থনীতির পুরস্কারের সবচাইতে বড় অভিযোগ হল এক্ষেত্রে শুধু পশ্চিমা ম্যাক্রো পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে গবেষণার জন্য এটা দেওয়া হয়।

নোবেল নিয়ে সবচাইতে বিতর্ক শান্তি এবং সাহিত্য তে পুরস্কার নিয়ে।শান্তি পুরস্কার আক্ষরিক অর্থেই পশ্চিমাদের “খুশি এবং সান্ত্বনা” পুরস্কারে রূপান্তরিত হয়েছে এবং ব্যাপক রাজনৈতিক দোষে দুষ্ট।

সাহিত্য পুরস্কার অনেক অর্থে তার সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। অনেক অনেক বিখ্যাত সাহিত্যিক এই নোবেল শান্তি পুরস্কার পাননি। আবার এমন অনেক লেখক পেয়েছেন যার কারণ অনেক সাহিত্যিক সমালোচকরা খুঁজে পাননা।

শরীর বিদ্যা এবং চিকিৎসা শাস্ত্রে অনেক সময় প্রি ম্যাচিউড় পুরস্কার দেওয়া হয়েছে এবং ডিসার্ভিং ব্যক্তি পুরস্কার পাননি ।

পদার্থ বিজ্ঞান এবং রসায়ন শাস্ত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারে পুরস্কার দেওয়া হয়নি এবং এখানেও অনেক ডিসার্ভিং ব্যক্তি পুরস্কার পাননি। সবচাইতে বড় অভিযোগ এখানে সিংহভাগ পুরস্কার আবিষ্কারের (ডিসকভারি) জন্য দেওয়া হয়; খুব কম ক্ষেত্রীই উদ্ভাবনের (ইনভেনশন) জন্য পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

----------------------------------------XXXXX------------------------------------------------

 প্রবন্ধটি ২২ শে জুন, ২০১২ সালে সমহোয়্যার ইন ব্লগে প্রকাশিত হয়েছিল।

সামহোয়ার ইন ব্লগ বর্ণবাদকে প্রশ্রয় দিচ্ছে, কিছু অর্বাচীন বর্ণবাদী বাংলাদেশীদের প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠছে_





“সামহোয়্যার ইন ব্লগ.... বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজ” এ ব্লগিং শুরু করার পর থেকেই লক্ষ করছি এখানে কতগুলো অর্বাচীন ব্লগার সুযোগ পেলেই কালো/আফ্রিকানদের গণহারে অসভ্য কিংবা নীচ হিসেবে প্রমাণ কিংবা জাহির করার চেষ্টা করছে।

গতকাল এক বর্ণবাদী পোস্ট রিপোর্ট করে দেখি কোন ফল হলনা উলটা দেখি আমাকে স্বাধীনতা বিরোধী হিসেবে লেভেল দেওয়া হলো। সেখানে রাজাকারদের সাথে আফ্রিকানদের জড়িয়ে খুব খারাপ ভাবে যা তা বলা হয়েছে।

এই টাইপের ব্লগার, যাদের একজন-দুজন আফ্রিকায় সরকারি কাজে/ডিউটিতে কিছুদিন কাজ করেছেন, আবার কয়েকজন আফ্রিকানদের সাথে পৃথিবীর অন্যান্য জায়গায় কাজ করেছেন কিংবা কেউ আমাদের দেশেই তাদের দেখেছে কিংবা কেউ জীবনেও দেখেননি।

যাইহোক তারা তাদের স্বল্প অভিজ্ঞতা কিংবা জ্ঞানের কারনে অথবা প্রকৃতিগত ভাবেই কালো মানুষ/আফ্রিকানদের সম্পর্কে বাজে বর্ণবাদী আচরণ করে। সামুতে রিপোর্ট করলেও কোন লাভ হচ্ছেনা।

পরে সামুর “ব্লগ ব্যবহারের শর্তাবলী” তে যেয়ে অবাক হলাম। আসলে তাদের নিয়মাবলী তে বর্ণবাদ বিরোধী কোন শর্তই নেই। রাষ্ট্র, ধর্ম, অশ্লীলতা, কুরুচিপূর্ণতা, গালিগালাজ, কুরুচিপূর্ণতা, সার্বভৌমত্ব, ইতিহাস, জাতীয়তা কিংবা বিশ্বাস নিয়ে সরাসরি বলা আছে। কিন্তু বর্ণবাদ নিয়ে সরাসরি কিছুই বলা নেই- বিশ্বাস না হলে নিচের লিঙ্কে -

ব্লগ রুলস - ব্লগ ব্যবহারের শর্তাবলী

যেয়ে সার্চ দিয়ে [যাদের জানা নেই তাদের জন্য: “Ctrl+f” চেপে]

বর্ণ, বর্ণবাদ কিংবা বর্ণবাদ বিরোধী; ইত্যাদি শব্দ দিয়ে সার্চ দিয়ে দেখুন কিছুই পাবেননা।

শুধু পরোক্ষ ভাবে এক জায়গায় বিশেষ গোষ্ঠীর কথা বলা আছে। কিন্তু বর্ণবাদ বিরোধিতা সম্পর্কে সামুকে অবশ্যই সরাসরি আক্ষরিক ভাবেই বলতে হবে। যেমন অন্যান্য বিষয় নিয়ে আক্ষরিক ভাবে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা আছে।

সামু মডারেটদের বলছিঃ
আপনাদের এ বিষয়টি নিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভাবা উচিত এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। অন্যথায় ভবিষ্যতে বিব্রতকর পরিস্থিতির স্বীকার হতে পারে।


আর সেই সব অর্বাচীনদের ব্লগারদের বলছি যারা আফ্রিকান/ কালো দের দেখতে পারেননাঃ
নিজের, নিজের মা-বাপ, স্ত্রী, সন্তান ভাইবোন, আত্মীয়স্বজন কিংবা স্বদেশী বাঙ্গালী-বাংলাদেশীরা কি খুব বেশি ধলা। আর কয়েকজনের অদ্ভুত আচরণ কিংবা অন্যায় কাজ কর্মে – অভ্যাসের কারণে পুরা জনগোষ্ঠীকে দোষারোপ করার শিক্ষা কই পেয়েছেন । আমি অন্য আর কোন ব্যাপক কিংবা বৈশ্বিক উদাহরণ দিবনা কিংবা আলোচনা করবনা কারণ ঐ রকম আলোচনা করার মত অবস্থায় আপনারা নাই। শুধু নিচে কতগুলো লিঙ্ক দিলাম এখন নিজে চিন্তা করেন, এজন্য কি গোটা বাঙ্গালী জাতিকে অসভ্য বলা যায়

মা কর্তৃক সন্তান হত্যা
লিঙ্ক - ১
লিঙ্ক - ২
লিঙ্ক - ৩
লিঙ্ক - ৪
লিঙ্ক - ৫
লিঙ্ক - ৬
লিঙ্ক - ৭

পিতা কর্তৃক সন্তান হত্যা
লিঙ্ক - ১
লিঙ্ক - ২
লিঙ্ক - ৩
লিঙ্ক - ৪
লিঙ্ক - ৫
লিঙ্ক - ৬

সন্তান কর্তৃক পিতা-মাতা হত্যা
লিঙ্ক - ১
লিঙ্ক - ২
লিঙ্ক - ৩
লিঙ্ক - ৪
লিঙ্ক - ৫
লিঙ্ক - ৬

ভাইবোন কর্তৃক আপন ভাইবোনকে হত্যা
লিঙ্ক - ১
লিঙ্ক - ২
লিঙ্ক - ৩
লিঙ্ক - ৪
লিঙ্ক - ৫
লিঙ্ক - ৬

শিশুকে ধর্ষন এবং হত্যা
লিঙ্ক - ১
লিঙ্ক - ২
লিঙ্ক - ৩
লিঙ্ক - ৪
লিঙ্ক - ৫
লিঙ্ক - ৬

সন্দেহের বশবর্তী হয়ে নিরপরাধ ব্যাক্তিকে জনগণ কর্তৃক পিটিয়ে হত্যা
লিঙ্ক - ১
লিঙ্ক - ২
লিঙ্ক - ৩
লিঙ্ক - ৪
লিঙ্ক - ৫
লিঙ্ক - ৬

রাষ্ট্রপতি কর্তৃক খুনিকে ক্ষমার মাধ্যমে ন্যায় বিচারের ধর্ষণ এবং সরকারের মদদপুষ্ট আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক নিরপরাধ মানুষকে হত্যা

লিঙ্ক - ১
লিঙ্ক - ২
লিঙ্ক - ৩
লিঙ্ক - ৪
লিঙ্ক - ৫
লিঙ্ক - ৬


এখানে চুরি, ডাকাতি, ধর্ষণ এবং হত্যা এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী কাজের কথা লিখলাম-না, এত সময়ও আসলে নেই। কেননা ঐসব নাম মাত্রই সন্ত্রাস এবং অপরাধ।

কিন্তু উপরোক্ত যেগুলো উদাহরণ দেওয়া হল ঐসব দীর্ঘ মেয়াদী সামাজিক অবক্ষয়ের প্রধান কারণ এবং সর্বনিম্ন পর্যায়ের অসভ্যতা।
********************************************

সামুতে বর্নবাদী পোস্টঃ

দীর্ঘ প্রায় ১০ বছরের পুরোন সামহোয়ার ইন ব্লগের আর্কাইভ অনেক অনেক বেশি বড়। তাই প্রাথমিক ভাবে যেসব বর্ণবাদই লেখা পেয়েছি তাই দিয়েছি। কারও আরও অন্যান্য লিঙ্ক জানা থাকলে অনুগ্রহ পূর্বক দেবেন।

আফ্রিকানরা আসলেই কী অসভ্য! বাংলাদেশকেও কি তারা দূষিত করছে?

বাঙ্গালি জাতি ধংসের মুখে

গুয়াজম এবং জাহাজ ভর্তি আফ্রিকান বডি বিল্ডার্স

ডিস্কোবান্দরের The Peacekeeper

আফ্রিকান ছাগুল গুলো সাইকেলেও চড়ে! !

ইহুদি বিদ্বেষী হিটলার ছিলেন ইহুদি!

ক্যামেরুনের মেয়েরা এখনো আদিম বর্বরতার শিকার

আপনার সন্তানের হাতে পিস্তল তুলিয়া দেয়া আর বুভুক্ষু-জ্বালা তুলিয়া দেয়া উভয়ই সমান , আমার দৃঢ় বিশ্বাস উভয় দিয়াই মানুষ খুন করা যায়.।।

দীর্ঘ প্রায় ১০ বছরের পুরোন সামহোয়ার ইন ব্লগের আর্কাইভ অনেক অনেক বেশি বড়। তাই প্রাথমিক ভাবে যেসব বর্ণবাদই লেখা পেয়েছি তাই দিয়েছি। কারও আরও অন্যান্য লিঙ্ক জানা থাকলে অনুগ্রহ পূর্বক দেবেন।

সুব্রত রায় সাহারা এবং সাহারা ইন্ডিয়া পরিবারের দুর্নীতির আদ্যোপান্ত...






২০০৮-২০১১ সালের মধ্য সাহারা রিয়েল এস্টেট ১৯ হাজার কোটি টাকা বেশি অর্থ সংগ্রহ করে বিভিন্ন বন্ড এবং ডিভেঞ্চারের স্কিমের মাধ্যমে সম্পূর্ন বেআইনী ভাবে। এর পর ২০১১ সাল শেষ হবার আগেই বিভিন্ন খরচের পর সংগ্রহ আরও ১৭ হাজার কোটি রুপির উপর ছাড়িয়ে যায় যা প্রায় ২ কোটি ২১ লক্ষ মানুষ থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

সাহারা গ্রুপ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোন প্রতিষ্ঠান নয়। তারা বিভিন্ন স্কিমের মাধ্যমে অসচ্ছ ইকুইটি বিক্রি করে সরাসরি খোলা বাজার থেকে বিভিন্ন উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করে। এই ১৭ হাজার কোটি টাকা শুধু তাদের রিয়েল এস্টেট ডিভিশনের মাধ্যমে তোলা। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তারা ২০০৮-২০১১ সালের মধ্যো প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে।

ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুযায়ী সাহারা গ্রুপ প্রতিষ্ঠার পর মোট ৭৩ হাজার কোটি রুপি সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়েছে সরাসরি বিভিন্ন বিনিয়োগকারী হতে। আমাদের দেশের ফটকাবাজ এমএলএম কোম্পানি ডেস্টিনি, সাহারার কাছে আসলেই নস্যি।

রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার নির্দেশঃ
২০০৮ সালে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া “সাহারা ইন্ডিয়ার ফিনান্সিয়াল কর্পোরেশনের” বিরুদ্ধে অবৈধ কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে। একই বছর “সাহারা ইন্ডিয়া ফিনান্সিয়াল কর্পোরেশনকে” নির্দেশ দেয় যেন তারা আর যেন নতুন কোন ডিপোজিট গ্রহণ না করে। সাহারা এর বিরুদ্ধে লখনৌ হাইকোর্টে গেলে হাইকোর্ট মামলা খারিজ করে দেয়, কেননা এখানে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ জড়িত।

ইনস্যুরেন্স রেগুরলেটারি এন্ড ডেভলপমেন্ট অথরিটির জরিমানাঃ
ভারতের ইনস্যুরেন্স সেক্টর রেগুরলেটারি বোর্ড সাহারা লাইফ ইনস্যুরেন্সের বিরুদ্ধে জরিমানা করে বিভিন্ন বেআইনি কর্মকাণ্ড করার জন্য।

সিকুরিটি এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইণ্ডিয়ার আদেশ এবং সাবধানবানীঃ
সাহারা রিয়েল এস্টেট কর্পোরেশন লিমিটেডের অধীন “সাহারা প্রাইম সিটির” স্কিমে অবৈধ ভাবে বন্ডের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা। যার ফেসভেলু নির্ধারিত হয় ৫০০০ থেকে ২৪০০০ রুপি পর্যন্ত। এই ধরনের ডিবেঞ্চার (মূলত OFCD) বিনিময়ের জন্য উপযুক্ত তথ্য সাহারা গ্রুপ প্রকাশ করেনি।

ভারতীয় রাষ্ট্রীয় আইন এবং বিভিন্ন নিয়মকানুন ভেঙ্গে অবৈধ ভাবে অর্থ সংগ্রহের পাঁয়তারা করার জন্য ২০১১ সালে “ভারতীয় সিকূরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন” সাহারা ইন্ডিয়া পরিবার এবং সুব্রত রায়ের বিরুদ্ধে মামালা প্রদান করে। ২৪ নভেম্বার ২০১১ সালে সাহারা গ্রুপ এর অর্থ সংগ্রহের উপর তাঁরা নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

সুব্রত রায়ের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যুঃ
দিল্লী কোর্ট ২০১১ সালে এই সুব্রত রায়ের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করে, ফ্ল্যাট ক্রয়-বিক্রয় ফটকাবাজির জন্য। ফেব্রুয়ারি ৯ তারিখে দিল্লীর প্রধান মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত রায়কে গ্রেপ্তার করার জন্য সমন জারি করে। নিরাজ পান্ডে নামক এক ব্যক্তি দায়ের করা মামলার উপর ভিত্তি করে উপযুক্ত প্রমাণ সাপেক্ষে এটা করা হয়।

নিরাজ পান্ডের ভাষ্য অনুযায়ী সাহারা ২০০৩ সালে “সাহারা স্বর্ণ যোজনা” নামক একটা টাউনশিপ স্কিম চালু করে, যার মূল্য ছিল নিম্নে এক লক্ষ রুপি। যা ৬ বছরেও শুরু করা হয়নি এবং ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়নি।

বাংলাদেশের বিনিয়োগে আগ্রহ:



সুব্রত রায় সাহারার ভাষ্য অনুযায়ী গত বছর আওয়ামীলীগ নেতা শেখ সেলিম তার সাথে দেখা করে তাকে বিনিয়োগ করার জন্য বলেন। এই বছর বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে এবং এদেশে তাদের প্রকল্পের / সাবসিডিয়ারির নাম রাখা হয়েছে “সাহারা মাতৃ ভূমি উন্নয়ন সংস্থা” এবং এর প্রধান করা হয়েছে শেখ সেলিমের গুণধর পুত্র শেখ ফাহিমকে। এবং শেখ সেলিম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই।

কি আর বলব পারিবারিক লাভের জন্য দেশের স্বার্থ বিক্রি যা আপাত দেশ বিক্রির সামিল।

সাহারার-বসুন্ধরার সাথে সৌজন্যতাঃ



কোন নতুন জায়গায় আসলে পুরানো মোড়লদের সাথে ঝগড়া করে কি লাভ যদি সমঝোতা করা যায়। দেশের শীর্ষ রিয়েল এস্টেট কোম্পানি (ওরফে প্রধান ভূমি দস্যু) বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহ আলমের সাথে সাহারা গ্রুপের চেয়ারম্যান সুব্রত রায়ের সৌজন্য সাক্ষাৎ। বাংলাদেশের ভূমি নিয়ে তাদের দুজনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি তা অবশ্য এখনো জানা যায়নি। তবে মনে হচ্ছে কয়েক বছরের মধ্যই পুরোদমে লুটপাটের মচ্ছব চলবে।

বিশেষ চরিত্র সুব্রত রায় সাহারাঃ
সুব্রত রয় সাহারার সবচাইতে বড় অস্ত্র বোধয় তার মুখ। বিভিন্ন স্কিমের মাধ্যমে সে হাজার হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে সরাসরি জনগন থেকে যার বেশিরভাগই ভুয়া। ৫০ শতাংশ তালিকা বিনিয়োগকারীর বাস্তব অস্তিত্ব নেই তথা এসব বেশীরভাগই অবৈধ কালো টাকা। তিনি দাবী করেন তার কোম্পানিতে সবাই কাজ করে কেউ মালিক নয় কিন্তু এই হীন মুখোশের অন্তরালে নিজে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গিয়েছে। সারা পৃথিবীতে সম্পদ গড়েছেন। তার নিজের নামে ভারতে একটা ক্রিকেট স্টেডিয়াম বানিয়েছেন এবং তিনি নিজে ভয়াবহ বিলাসিতার মধ্য জীবন যাপন করেন। সবচাইতে খারাপ হল তিনি একটা খোলস নিয়ে চলেন। তিনি নিজের পরিচয় দেন "সাহারাশ্রী সুব্রত রায় সাহারা হিসেবে।

তিনি বিনিয়োগকারীঃ
তিনি মনে করেন পরিবেশ বাদীরা নাকি নানা রকম ঝামেলা করে। তিনি একটি দেশে হাজার হাজার কোটি বিনিয়োগ করতে আসলেও তিনি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের নাকি চিনেনা। বেশ কিছু গ্লোবাল বিজনেসম্যান কে দেখেছি, এই টাইপের কথা তারা ভুলেও বলবেনা। চিনবেন কিভাবে, তাকে এদেশে এনেছে আরেক ফটকা শেখ সেলিম যার কাজই কমিশন খাওয়া।

আমার আগের প্রাথমিক পোষ্টঃ

দেশীয় ভূমি দূষ্যদের জ্বালায় মানুষ তটস্থ আওয়ামীলীগের নেতাদের নিজ স্বার্থে বিদেশী ভূমি দস্যু আমদানি


বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদ পত্রের রিপোর্টঃ

ইন্ডিয়া টুডে

এক্সপ্রেস ইন্ডিয়া

ডি এন এ ইন্ডিয়া

লাইভ মিন্ট

ভারতের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি রেগুলেটারি এজেন্সির তদন্ত রিপোর্টঃ

রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া

ইনস্যুরেন্স রেগুরলেটারি এন্ড ডেভলপমেন্ট অথরিটি

সিকিউড়িটি এন্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড - ১

সিকিউড়িটি এন্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড - ২

সিকিউড়িটি এন্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড - ৩

সিকিউরিটি আপিল ট্রাইব্যুনাল

সাহারার ওয়েবসাইটঃ

উইকিপিডিয়া আর্টিকেলঃ সাহারা গ্রুপ

সাহারা গ্রুপের নিজেস্ব সাইট

[বিঃদ্রঃ - লেখাটি সকালে লেখা হয়েছে। ঠিক মত সম্পাদনের সময় পাওয়া যায়নি। কিছু বানান কিংবা ব্যাকরণগত ভুল থাকতে পারে। ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টি কাম্য।]


----------------------------------------XXXXX------------------------------------------------

 প্রবন্ধটি ২১ শে মার্চ, ২০১২ সালে সমহোয়্যার ইন ব্লগে প্রকাশিত হয়েছিল।

ব্যাক্তিগত / ব্যবসায়িক বিমান



যারা আন্তর্জাতিক ব্যবসা করছেন কিংবা করবেন বলে মনস্থির করছেন, যাদের ব্যবসা গ্লোবাল কিংবা অন্তত কন্টিনেন্টাল, যাদের যখন তখন ঢাকা থেকে নিউ ইয়র্ক, লস এঞ্জেলস, প্যারিস, লন্ডন, বার্লিন, হংকং, সাংহাই, টোকিও, মেলবোর্ন, জোহানেস বার্গ, সাউ পাউলো কিংবা পার্শবর্তী মুম্বাই, দুবাই, কুয়ালালামপুর, জাকার্তা কিংবা আমাদের চট্টগ্রাম, খুলনা যাতায়াত করতে হয়। যাদের অফিস এবং ইন্ডাস্ট্রি সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তাদের এসব বিমান আসলেই খুবই প্রয়োজন।

খুব হালকা ( ১০০০০ পাউন্ড / ১-২ ৪-৫ / সর্বোচ্চ ২০০০ কিমি / মূল্যঃ ১-৩ মিলিয়ন ডলার)

এক্লিপস ৫০০

এড্যাম এ৭০০

সেসনা সাইটেশন মাস্ট্যাং

এম্ব্রেয়ার ফেনম ১০০

হোন্ডা এইচ এ ৪২০


হালকা( ২১০০০ পাউন্ড / ১-২ ৭-১০ / সর্বোচ্চ ৩০০০ কিমি / মূল্যঃ ৫-১০ মিলিয়ন ডলার)

লিয়ার জেট 4৫

সেসনা সাইটেশন 14

এম্ব্রেয়ার ফেনম ৩০০

হকার ৪০০ -

গ্রব জি ১৮০ এস পি এন


মাঝারী সাইজ( ৩৫০০০ পাউন্ড / ১-২ ৭-১০ / সর্বোচ্চ ৫০০০ কিমি / মূল্যঃ ১০-২০ মিলিয়ন ডলার)

সেসনা সাইটেশন সোভারেইন

ড্যা সল্ট ফ্যালকন

গালফ স্ট্রিম জি২৫০ – গালফস্ট্রিম, যুক্তরাষ্ট্র

হোকার ৮০০-900

লিয়ার জেট 85



ভারী মাঝারী সাইজ ( ৪৫০০০ পাউন্ড / ১-২ ১০-২০ / সর্বোচ্চ ৬০০০ কিমি / মূল্যঃ ২০-৩০ মিলিয়ন ডলার)

বোম্বার্ডিয়ার চ্যালেঙ্গার ৬০০

সেস্না সাইটেশন এক্স/১০

ফ্যাল্কন ৯০০ – ড্যাস্লট, ফ্রান্স

গালফ স্ট্রিম ৪৫০

হোকার ৪০০০ হরাইজন


বড় সাইজ ( ১০০০০০ পাউন্ড / ১-২ ১০-২০ / সর্বোচ্চ ১৩০০০ কিমি / মূল্যঃ ৪০-৭০ মিলিয়ন ডলার)

বোম্বার্ডিয়ার গ্লোবাল এক্সপ্রেস

বম্বার্ডিয়ার চ্যালেঞ্জার ৮৫০

ফ্যাল্কন ৭এক্স

গালফ স্ট্রিম ৫৫০

গালফ স্ট্রিম ৬৫০


ভারী বড় ( ১২০০০০ পাউন্ড / ২-৪ ১০-৬০ / সর্বোচ্চ ১১০০০ কিমি / মূল্যঃ ৪৫- ১০০ মিলিয়ন ডলার)

এম্ব্রেয়ায় লিণিয়েজ ১০০০

বোয়িং বিবিজে জে/সি –

এয়ার বাস এসিজে ৩২০/৩১৯


বড় সুপরিসর ( ৫০০০০০ পাউন্ড / ২-৪ ১০-২০০ / সর্বোচ্চ ১৫০০০ কিমি / মূল্যঃ ১৫০ - ৩০০ মিলিয়ন ডলার)

বোয়িং ৭৪৭ / ৭৭৭ / ৭৮৭ ভি আই পি

এয়ার বাস এসিজে ৩৪০-৫০০ / ৩৫০-৯০০


উড়ন্ত প্রাসাদ ( ১২০০০০০ পাউন্ড / ২-৪ ১০-৩০০ / সর্বোচ্চ ১৫৫০০ কিমি / মূল্যঃ ৩৫০-৫০০ মিলিয়ন ডলার)

এয়ার বাস এসিজে ৩৮০-৮০০


-----------------------------------------------------------------

এছাড়া শহরের আসে পাশে যেমন ময়মনসিংহ, নারায়ন গঞ্জ, বরিশাল, বগুরা ইত্যাদি এলাকায় মিল-কারখানা ভিজিটে হেলিকপ্টার সুবিধাজনক।

সল্প দূরত্বের (৫০-৬০০ কিমি, মূল্যঃ ১-১০ মিলিয়ন ডলার)

বেল ২০৪/২০৫

ইউরো কপ্টার ইসি ১২৫ / ১৪৫

সিকোরেস্কি এস ৭০-৭৫

রবিন্সন আর ৪৪

এম ডি এক্সপ্লোরার


লম্বা দূরত্বের (৬০০ - ১৪০০ কিমি, ১০- ৬০ মিলিয়ন ডলার)

বেল ৪১২ / ৪২৯ সিরজ -

অগাস্টা বি এ ১০৯ / ১৩৯

ইউরো কপ্টার ইসি ১২৫ / ১৪৫ / ২২৫

সিকোরেস্কি এস ৯২

অগাস্টা বি এ ৬০৯

লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): প্রাইভেট জেটবিজনেস জেটপ্রাইভেট