Sunday, October 28, 2012

১২ ধরনের ভদ্রমহিলা হতে নিরাপদে থাকবেন



নারীবাদী
তারা মনে করেন সমাজের সমস্ত মন্দ কাজ পুরুষদের দ্বারা সংঘটিত হয় এবং সবচাইতে ভাল কাজ হত যদি পুরুষ মানুষ সন্তান জন্ম দিতে পারত। উনারা মনে করেন পৃথিবী একটা ফুলশয্যা হত যদি পুরুষতন্ত্র বাধা না হয়ে দাঁড়াত এবং সমাজের নেতৃত্বে নারীরা থাকত। তবে এদের সবচাইতে বড় সমস্যা হল তারা অনে কিছুই মনে করেন করা উচিত কিন্তু নিজেরা তা করতে নারাজ এবং নিজেদের ক্ষেত্রে বিশ্বাসও করেননা। তারা মনে করেন সব পুরুষই “এক” এবং শুধু “জৈবিক” চিন্তায় মত্ত থাকে। তবে বিপদে পড়লে তাদের মুখ দিয়ে বের হয়ে আসে “আমি একজন মেয়ে........ আমার উদ্ধার হওয়ার অধিকার আগে” কিংবা “আপনি পুরুষ মানুষ কিভাবে ভাবলেন আমি একটা অবলা মেয়ে হয়ে এটা করব”।

গ্রহীতা 
সোজা বাংলায় “লোভী। তারা টাকার পেছনে ঘুরেন। তাদের রক্ষণাবেক্ষণ খরচ অনেক বেশি (পারিবারিক জীবনযাত্রার সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ নয়)। তিনি মনে করেন এবং বিশ্বাস করেন তাদের রক্ষণাবেক্ষণ করা পুরুষদের দায়িত্ব কেননা তারা মেয়ে। খাওয়া-দাওয়া, ঘোরা-ফেরা উপহার সব কিছুই পুরুষদের করতে হবে। সব ক্ষেত্রেই সবচাইতে বিলাসবহুল আশা করেন। কখনো বদলে কিছু করার মানসিকতা থাকেনা। তিনি নিজেকে স্বর্ণের চেয়েও বেশি মূল্যবান মনে করেন এবং নিজের সৌন্দর্যের নিলাম করেন। এক কথায় তিনি “লোভী” এবং সুসময়ের সঙ্গী। ইংরেজিতে তারা “গোল্ড ডিগার” নামে পরিচিত।

প্রেমিকা 
প্রেম নিয়ে এদের ফ্যান্টাসি অত্যধিক। তারা ভাবতে ভালোবাসেন একদিন সাত সমুদ্র তেরো নদী ওপার হতে স্বপ্নের রাজপুত্র ঘোড়ায় করে তাকে তুলে নিয়ে যাবেন। প্রতিদিন সেই স্বপ্নের রাজপুত্রের অপেক্ষায় থাকেন। সাধারণত তারা বাবার এক মেয়ে কিংবা সাত ভাইয়ের এক বোন হয়ে থাকেন। কঠিন বাস্তব দুনিয়া নিয়ে তাদের কোন ধারনাই নেই।

বিরহে কাতর 
তিনি সাধারণত ছ্যাঁকা খাওয়া, একবার নয়, কয়েকবার এবং এরমধ্য কমপক্ষে একটি তার নিজের দোষে। তিনি এরপর থেকে কোন "রিলেশনশিপ" এড়িয়ে চলেন। তবে তিনি একটা "আবহ" সবসময় উপভোগ করেন। তিনি হস্যোজ্জ্বল, প্রায়ই ঠাট্টা মশকরা করেন। ঘুরবেন ফিরবেন কিন্তু সম্পর্ক করবেনা, দাবী করবেন শুধুই বন্ধুত্ব তবে আশা করবেন বন্ধুত্ব থেকে বেশী কিছু। হৃদয় ভাঙ্গার কারণ অন্যতম কারণ।

রাগান্বিত 
ক্ষণিকটা নারীবাদীদের মতই। প্রকৃত প্রস্তাবে পুরুষদের পছন্দ করেনা। তারা মনে করেন পৃথিবীর যত খারাপ কাজ হয় তার সবই পুরুষদের দ্বারা হয়। তাদের রাগ আগ্নেয়গিরির মত, হঠাৎ হঠাৎ বিস্ফোরিত হয়। তাদের কাছে পুরুষ জাত হল গর্দভ।

নীরাপত্তাহীন 
সাধারণত তারা মিষ্টভাষী এবং সুব্যবহাররকারী হয়ে থাকেন। তবে দিন গেলেই আস্তে আস্তে প্রকাশ পেতে থাকে। সবসময় বিশ্বাসের পরীক্ষা দিতে হয় এবং তেল মেরে থাকতে হয়। "বিরক্তিকর" বিশেষণটি তাদের জন্য খুবই প্রযোজ্য।

ক্রোধান্ধ 
নারী সমাজের সবচাইতে নীচ এই শ্রেণীর মহিলারা। ইনারা সামাজিক মর্যাদায় কম কিংবা বিভিন্ন সেবাদান কারী এমন মানুষদের সাথে যাচ্ছেতাই ব্যাবহার করেন। সবসময় নিজেদের নিয়ে চিন্তা করেন। সাধারণত সুন্দরী এবং সুবেশী। অযৌক্তিক আচরণ করতে সামান্য লজ্জাবোধ করেননা, কারণ নিজের ইচ্ছা রুপায়নি তাদের উদ্দেশ্য।

আমার আমি 
ক্রোধান্ধ এর মতই অনেকটা। শুধু নিজেকে নিয়ে চিন্তা করে। নিজেকে পৃথিবীর কেন্দ্র মনে করেন। সাধারণত স্বার্থপর, ভোগবাদী এবং আত্মাভিমানী । সাধারণত বাবার আদুরী মেয়ে এবং সবার থেকেই তা আশা করে।

ব্যাকুল 
সাধারণত বিভিন্ন কারণে তারা বিয়ের জন্য ব্যাকুল থাকেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রই কর্মজীবনে অসফল। মাঝেমধ্যে রিস্ক নিতে গিয়ে নিজেদের বিপদে ফেলেন কিংবা অপরের বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ান।

ছলনাময়ী 
তিনি সোজা বাংলায় প্রবচক। উদ্দেশ্য সাধনের আগ পর্যন্ত সমস্ত কথায় সায় দিবে এবং উদ্দেশ্য সাধনের পর আসল রূপ বের দেখা যায়। প্রায়ই দেখা যায় বিয়ের আগের মিষ্টি ভাল মেয়ে বিয়ের পর অর্থলিসু দাবিদারে পরিণত হয়। প্রায়শই অনৈতিক দাবিদাওয়ার জন্য ঝগড়ায় লিপ্ত হয়।

রঙ্গ তামাশা 
সোজা বাংলায় টাঙ্কিবাজ। তিনি তরুণ - বুড়ো সবার সাথে ফাজলামি রঙ্গ তামাশা, ঠাট্টা মশকরা করতে ভালবাসেন। বাছবিচার নেই। সহজেই চেনা যায়। স্বভাবগতভাবেই পুরুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে তিনি পছন্দ করেন। এদের মোটেই বিশ্বাস করতে নেই; সর্বদা "আরও মূল্যবান" কিছু খুঁজতে থাকে। যেকোনো সময় হৃদয় ভেঙ্গে দিয়ে চলে যাবে। ইংরেজিতে তারা “ফ্ল্যার্ট” নামে পরিচিত।

নিয়ন্ত্রণকারী 
তিনি সবকিছু নিজের ইচ্ছামত করতে ভালোবাসেন। তিনি মনে করেন তার থেকে কেউ ভালো বোঝেনা। খাওয়া দাওয়া, কোথায় যেতে হবে, কি করতে হবে, কি রকম বন্ধু থাকতে হবে সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে ভাল বাসেন। যদি এর ব্যতিক্রম হয় তাহলে চিরাচরিত মেয়েলী আচরণ যেমন কান্না, চিল্লা চিল্লি অথবা আদর সোহাগ দিয়ে আপন ইচ্ছের বাস্তবায়ন ঘটানোর চেষ্টা করেন।


বিঃ দ্রঃ - বিদেশী ম্যাগাজিন অবলম্বনে। ব্লগারের ব্যক্তিগত মতামত নয়। এসব ভালো কিংবা মন্দ মানবীয় গুণ সবারই থাকে কম-বেশী। তবে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়।

আশাকরি কেউ ব্যক্তিগত ভাবে নিবেননা। ফান পোষ্ট

সঠিকভাবে সম্পাদিত হয়নি। বানান কিংবা ব্যাকরণ ভুলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টি কাম্য।


----------------------------------XXXXXXXXXXXXX----------------------------------------

প্রবন্ধটি ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১২ সালে সমহোয়্যার ইন ব্লগে প্রকাশিত হয়েছিল। 

No comments:

Post a Comment