Wednesday, May 15, 2013

বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষিত এবং নারীর ক্ষমতায়ন কিংবা নারীর অধিকার




আইয়ামে জাহেলিয়াত যুগে কন্যা সন্তানদের জীবিত কবর দেওয়া হত (female Infanticide), ইউরোপে নারীদের বিনা কারণে কিংবা বানানো কারণে ডাকিনী হবার মিথ্যা অভিযোগে জীবিত আগুনে পোড়ানো হত (Witch hunt)। তাছাড়া আমাদের এই ভারতীয় উপমহাদেশেও সতীদাহ প্রথার মাধ্যমে বিধবা নারীদের মৃত স্বামীর সঙ্গে আত্মাহুতি দিতে বাধ্য করা হত (Sati)।
আবার এসব যুগেও আমরা শুনতে পাই আরবের বিবি খাদিজার কথা, যিনি বড় ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন কিংবা বিখ্যাত মহিলা কবি আল খানাস, তাঁদের মত সেই যুগে আরও মহিলা ছিলেন যাদের প্রভাব তৎকালীন সমাজে ছিল। ইউরোপে ইংল্যান্ডের রাণী এলিজাবেথ কিংবা রাণী স্পেনের রাণী ইসাবেলা “উইচহান্ট” যুগে দাপটের সাথে রাজ্য শাসন করেছেন। কিংবা রাজপুত রাণী দূর্গাবতী কিংবা মারাঠা রাণী জিজাবাই ভোসলের কথা বলা যায়, যাদের সমাজে সতীদাহ প্রথা থাকলেও এতে তাদের এ ব্যাপারে কেউ জোর করতে পারেনি।
তথা আমরা দেখতে পাই প্রভাবশালী, ধনাঢ্য কিংবা খ্যাতিমান পরিবারে জন্মগ্রহণকারী নারীগণ কখনো সেই অর্থে অত্যাচারিত ছিলেননা। বর্তমান বিশ্বে নারী অধিকার এবং নারী স্বাধীনতার সূচকে তলানিতে থাকা দেশ গুলোর মধ্য পাকিস্তান কিংবা আরবের বিভিন্ন দেশগুলো অন্যতম। কিন্তু সেখানে আমরা বেনজির ভুট্টোর মত জাঁদরেল নারী নেত্রীর সাক্ষাৎ পাই। পাকিস্তানের শীর্ষ নারী নেত্রীদের সংখ্যা মনে হয় বাংলাদেশ থেকেও বেশি। পাকিস্তানের বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার এবং স্পিকার ডঃ ফাহমিদা মির্জা নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে চলছেন। আগের তথ্য মন্ত্রী শেহের বানু রহমানের কথাও বলা যায়, যার পশ্চিমা ধারায় চলা ফেরা সর্বজনবিদিত; তবে কাঠ মোল্লাদের তাদের নিয়ে মন্তব্য করার সাহস তেমন নেই, কারণ তাঁরা প্রত্যেকই অনেক প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য। যেমন বাংলাদেশে বিভিন্ন ধর্ম ভিত্তিক দল নারী নেতৃত্ব কিংবা পর্দা নিয়ে বিভিন্ন কিছু দাবী করলেও বিএনপি এবং বিএএল এর বিভিন্ন ব্যাপারে (বিশেষত এর বিভিন্ন নারী নেতার পর্দা) মুখে কুলুপ এঁটে রাখে কারণ তারা জানে তাহলে তাদের পায়ের তলায় আর মাটি থাকবেনা!!
আরবদেশের কথা কি আর বলা যায়!! ঐগুলোর বাদশা-শেখের বউ-কন্যারা হলেন উনাদের (শাসক গোষ্ঠীর) চরম হিপোক্রেসির মূর্ত প্রতীক। সাধারণ ঘরের মেয়েদের পান থেকে চুন খসলেই যেখানে সবক শুনতে হয় এবং ক্ষেত্র বিশেষে শাস্তি পেতে হয় সেখানে তাদের পরিবারের কন্যাগণ সেই পান মাটিতে ফেলে দিলেও মাফ।
একটি বিষয়ে তাদের সবারই মিল আছে, আর তা হল- তারা প্রায় (সামান্য কিছু ব্যতিক্রম বাদে) প্রভাবশালী, ধনী কিংবা নিদেন পক্ষে এন্টাইটেল্ড পিতা মাতার কন্যা এবং এ জন্য তাদের অনেক রকম সামাজিক নিঃস্পৃহ থেকে মুক্ত থাকতে পেরেছেন, যা একজন সাধারণ ঘরের কন্যা পদে পদে মোকাবেলা করে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নারী অধিকার এবং নারী ক্ষমতায়নের সার্বিক চিত্র
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নারীর অধিকার এবং ক্ষমতায়ন এই নিম্নক্ত প্রধান প্রধান গবেষণাধর্মী ডাটা গুলো হতে একটি ধারনা পাওয়া যেতে পারে-
আগে থেকে পরিচয় না থাকলে উপরোক্ত ডাটা গুলোর ইনডেক্স এবং ডাটার ফ্যাক্টর গুলো বোঝার জন্য অন্তত ১০-২০ মিনিট সময় ব্যায় করতে হতে পারে। উপরোক্ত তালিকা সহ আরও অনেক তালিকা হতে ডাটা নিয়ে একটি অনলাইন পত্রিকা (Newsweek/The Daily Beast) ২০১১ সালে ১৬৫ টি দেশ নিয়ে একটি সার্বিক সারাংশ (The Best and Worst Places for Women) তৈরী করেছে যা সাধারণ পাঠকের জন্য সহজবোধ্য। উক্ত তালিকায় সার্বিক ভাবে ২০১১ সালে নারীর অধিকার নিশ্চিতকারী -
প্রথম দশটি দেশ (প্রথম থেকে ১-১০)- আইসল্যান্ড, সুইডেন, কানাডা, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, যুক্তরাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়া এবং নেদারল্যান্ড।
শেষ দশটি দেশ (শেষের থেকে ১৬৫-১৫৬) – চাদ, আফগানিস্তান, ইয়েমেন, কঙ্গো, মালি, সলোমন আইল্যান্ড,নাইজার, পাকিস্তান, ইথিওপিয়া এবং সুদান।
তালিকায় পাকিস্তান শেষের দশটিতেই আছে ১৫৮ নম্বরে, ভারতের অবস্থান ১৪১ এবং বাংলাদেশের ১৩৯।
নারীর ক্ষমতায়ন বনাম নারীর অধিকার এবং বাংলাদেশ
বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন
২০০৯ হতে- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী তথা প্রধানমন্ত্রী নারী, রাষ্ট্র-যন্ত্র পরিচালনার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের চারটির তিনটি – প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী (২০০৯-১২), পররাষ্ট্র মন্ত্রী নারী। তাছাড়া সংসদে সরকার দলীয় নেত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রী এবং সংসদ উপনেতা সবাই নারী। বিশ্বের ইতিহাসে এমন নজির আছে কিনা আমার আসলেই জানা নাই। হয়ত একমাত্র কাল্পনিক রাজ্য অ্যামাজনে এমন ছিল। বাস্তবে আমি পাইনাই। এটা অবশ্যই একটা গর্বের বিষয় এবং বিশ্বের ইতিহাসে একটা অনন্য উদাহরণ।
তাহলে আমাদের দেশে নারী সমাজ কি সামগ্রিক ভাবে ভালো অবস্থায় আছেন ?
ভালো অবস্থায় আছেন নেই।
কেন নেই ?
কারণ দেশে সরকারের কিংবা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে নারী থাকা মানেই নারীর অধিকার সমাজে নিশ্চিত নয়, ঠিক যেমন পাকিস্তানে নেই সামগ্রিক ভাবে এবং অনেক ক্ষেত্রে, বিশেষত নারীদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ভারতেও নেই । আমাদের দেশের সংরক্ষিত নারী আসনের কথাই ধরি, বেশিরভাগেরই স্বামী কিংবা পিতা এন্টাইটেল্ড। অনেক ক্ষেত্রে এসব আসন ক্রয় বিক্রয়ের খবরও পাওয়া যায়। তবে দুয়েকজন ব্যতিক্রম অবশ্যই আছেন। যুগে যুগে এমনি ছিল। আমাদের বৃহত্তর সাধারণ ঘরের নারীগণের ন্যায্য অধিকার যতদিন নিশ্চিত হবেনা ততদিন সামগ্রিক নারী অধিকার নিশ্চিত হবেনা। এক্ষেত্রে আমাদের বটম-আপ দিকে ভাবতে হবে। আপ-বটম সেই প্রাচীন কালেই ছিল।
নারীর ক্ষমতায়ন বনাম বাংলাদেশের নারী স্পীকার
২০১৩ সালে নির্বাচিত (নিয়োগপ্রাপ্ত?) শিরীন শারমিন চৌধুরী কি যোগ্য নন ?
অবশ্যই যোগ্য। তিনি একজন আইনজীবী এবং ছাত্র জীবনে শীর্ষ মেধার সাক্ষরতা রেখেছিলেন। পৃথিবীর অনেক মহান রাজনীতিবিদ তাঁর মতই শীর্ষ একাডেমিক পারফরমেন্সের অধিকারী ছিলেন। তবে আবার অনেকেই মধ্যম মানের ছিলেন কিংবা অনেকের একাডেমিক পারফরমেন্স তেমন ভালোও ছিলনা না। আসলে সফল রাজনৈতিক নেতৃত্বে অনেক ফ্যাক্টর কাজ করে। একাডেমিক শিক্ষা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ এবং অনেক গুলো ফ্যাক্টরের মধ্য এটা বেশি ওয়েট বহন করা ফ্যাক্টর গুলোর অন্যতম। তবে আরও অনেক যোগ্যতা / ফ্যাক্টরও আছে যেমন নেতৃত্ব প্রদানের দক্ষতা, নৈতিকতা, বুদ্ধি-বিবেচনাবোধ, ক্যারিজমা ইত্যাদি ইত্যাদি। এজন্যই অত্যন্ত সাধারণ মানের ছাত্র শেখ মুজিব হলেন প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা জীবনে শীর্ষ মেধার সাক্ষর রাখা কামাল হোসেন হলেন সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার কামাল হোসেন।
শিরীন শারমিন চৌধুরী কি স্পিকারের দায়িত্ব পালন করতে পারবেননা ?
অবশ্যই পারবেন। একটা ন্যূনতম যোগ্যতা এবং বুদ্ধিবিবেচনা থাকলে অল্পকালেই যেকোনো নন ট্যাকনিক্যাল রুটিন কাজ সবাই করতে পারেন, যেমন পেরেছেন পররাষ্ট্র ডাঃ মন্ত্রী দিপুমনি এবং যেমন ভাবে বেশিরভাগ বড় ব্যবসায়ী কিংবা উদ্যোক্তা, প্রথম শ্রেণীর সিনিয়র সরকারী অফিসার, সিনিয়র কর্পোরেট নির্বাহী খুব ভালভাবেই প্রধানমন্ত্রীর “রুটিন” দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। তাছাড়া এসব কাজে সাহায্যর জন্য থাকেন বিভিন্ন ক্যারিয়ার অফিসার কিংবা উপদেষ্টা । এসব শীর্ষ পদে যোগ্যতার পরীক্ষা তখনই প্রমাণিত হয় যখন কোন র‍্যাডিক্যাল সিদ্ধান্ত নিতে হয় কিংবা ক্রাইসিস, তথা, চরম অর্থনৈতিক মন্দা অথবা যুদ্ধাবস্থা শুরু হয়। (যেমন রাষ্ট্রপতি ইয়াজ উদ্দিন আহমেদ প্রথম চার বছর ভালোভাবে রাষ্ট্রপতির “রুটিন দায়িত্ব” পালন করলেও যখনই ক্রাইসিস আসল তখনই আঁচ করা গেল তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞার প্রকৃত পরিচয় )
অনেকেই বাংলাদেশে নারী স্পিকার নির্বাচনে ভারত এবং পাকিস্তানের উদাহরণ টানেন। ভারতের মিরা কুমার এবং পাকিস্তানের ডঃ ফাহমিদা মির্জার পোর্টফলিও দেখলেই বুঝতে পারা যাবে শুধু “নারী” হওয়া ছাড়া বাংলাদেশের স্পীকার ডঃ শিরীন শারমীন চৌধুরীর সঙ্গে ঐ দুজনার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার কত যোজন পার্থক্য। ফাহমিদা এবং মিরা এ দুজন হলেন রাজনৈতিক দলগুলোর সমঝোতার ভিত্তিতে ন্যাচারাল চয়েস তথা ইলেক্টেড এবং শারমীন হলেন মূলত একজন মানুষের পছন্দ কিংবা সিলেক্টেড।
নারী প্রধানমন্ত্রীর নারী স্পিকার নির্বাচনের ব্যাপারটাতে “নারী-পুরুষের” বিষয় না ভেবে ক্লীব ভাবে যদি দেখি তাহলে দেখব এই সিদ্ধান্ত একটা স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত। আওয়ামীলীগের মূল ধারায় আরও এমন নারী নেত্রী আছেন যারা শিরীন শারমিন থেকে একাডেমিক পারফরমেন্সে খুব বেশি কম নন আবার যাদের রয়েছে দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা। আসলে এটা তাঁর (প্রধানমন্ত্রীর) একান্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত এর দুটি কারণ হতে পারে –
১.দলে অন্ধ আজ্ঞাবাহক মানুষ রাখা কিংবা সৃষ্টি করা এবং দলের মধ্যম এবং শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্বকে সবক দেওয়া যেন তারা আত্মমর্যাদাবোধ বাক্সবন্দি করে রাখেন।
২. কাগজে কলমে নিজের ক্রেডিবিলিটি বাড়ানো এবং ইতিহাস সৃষ্টি করা যে তিনি নারী ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করেন।
শিরীন শারমীন ২০০৭-৯ এ শেখ হাসিনার আইনি সহায়তা দানকারী দলের সাথে ছিলেন (বর্তমান আইনমন্ত্রীর মত)। এটা আসলে আওয়ামীলীগের মধ্যম এবং শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে একটু সবক দেওয়া।
মূল প্রেক্ষিত
আবারো প্রকাশ হয়ে পরল আমাদের দেশের বিভিন্ন পার্টির অন্দর মহলের অবস্থা। সব গুলোই de facto PPP তথা (পিপিপি) প্রাইভেট পলিটিকাল পার্টি। (কাকতাল! শব্দ সংক্ষেপণটি “পাকিস্তান পিপলস পার্টির” সাথে মিলে গেল, যদিও এটিই “প্রাইভেট পলিটিকাল পার্টির” সবচাইতে ভালো উদাহরণ, যেখানে পার্টির চেয়ারম্যান পদও ওয়ারিশ গত ভাবে উইলের মাধ্যমে নির্ধারণ হয় এমনকি যাকে উইল করা হয়েছে তার জাতীয় নির্বাচনে দাড়াবার প্রয়োজনীয় বয়স না থাকলেও! )
আমাদের দেশের সবচাইতে বড় দুটি দল দুটিই, দুই শীর্ষ পরিবার কেন্দ্রিক, শুধু পরিবার কেন্দ্রিক না এখানে অলিখিত পিয়ার‍্যাজ (Peerage) ব্যবস্থাও বর্তমান। এজন্য শীর্ষ নেতার সন্তান শীর্ষ নেতা, এমপির সন্তান এমপি, নেতার সন্তান নেতা কিংবা পাতি নেতার সন্তান পাতি নেতা হিসেবে অগ্রাধিকার পান। কুখ্যাত সন্ত্রাসী সোহেল রানার গড ফাদার এবং সাভারের (ঢাকা – ১৯) স্বঘোষিত লিজেন্ড (এবং স্বঘোষিত লিজেন্ড পুত্র) এমপি তৌহিদ জং মুরাদ কিন্তু এই পিয়ারেজ ব্যবস্থার প্রোডাক্ট। অথচ সেখানে অত্যন্ত যোগ্য একজন নারী নেতা মনোনয়ন চাইলেও পাননি, একবার নয়- দুইবার! কেননা নিজ যোগ্যতায় যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও তিনি পিয়ার‍্যাজ (Peerage) সিস্টেমে একধাপ পিছিয়ে ছিলেন।
বড় দল গুলো অনুরূপতায় “লিমিটেড কোম্পানি” সমমানের হলেও আর ছোট দল গুলো হল পুরাই “প্রোপ্রায়েট্রি” যেখানে দলীয় চেয়ারম্যান / প্রধানের মৃত্যু হলে দল থাকে না ভাঙ্গে এটার ঠিক নেই। বড় দুই দলের আভ্যন্তরীণ দলীয় গণতন্ত্রের ব্যাপারে কামাল হোসেন, বদরুদ্দোজা চৌধুরী কিংবা আন্দালিব পার্থ যত বড় বড় কথা বলেননা কেন নিজেদের রাজনৈতিক দলের গণতন্ত্রে তারা নিজেরাই বিশ্বাসী নন। আর কম্যুনিস্ট দলগুলোর কথা না বলাই ভালো। আমাদের দেশে তথাকথিত সাম্যবাদ ভিত্তিক দলগুলো কখনই মূলধারার দল ছিলনা এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রই তাদের নেতৃবৃন্দ শুধু নির্বাচনে হেরে যেতেননা; অতিরিক্ত কম ভোট পাওয়ার কারণে তাঁদের জামানত পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত হত। এখন দেখা যাচ্ছে তারা পরজীবী হিসেবে বড় দলকে বিশেষত আওয়ামীলীগকে ভালোই ম্যানিপ্যুলেট করছেন যেমনটি জামায়াত গত প্রায় ১২-১৩ বছর যাবত বিএনপিকে ম্যানিপ্যুলেট করে যাচ্ছে । সাধারণ ধর্ম ভিত্তিক (মূলত ইসলামিক দল) গুলোর অবস্থাও তেমন খুব ব্যতিক্রম নয়। কম্যুনিস্ট দলগুলোর মূল কর্মকাণ্ড যেমন মূলত ঢাকা কেন্দ্রিক এই ধর্ম ভিত্তিক দলগুলোও বিভিন্ন অঞ্চল ভিত্তিক। অপরদিকে জামায়াত সেই অর্থে যতটা না ইসলামিক দল তার চেয়েও বেশি ইসলাম ব্যবহারকারী এবং “ঐতিহাসিক” ভাবে “পাকিস্তানি জাতীয়তাবাদী??” দল।
বড় চারটি (সমগ্র বাংলাদেশ ব্যাপী যাদের নেটওয়ার্ক) দলের প্রথম তিনটি দল (সমগ্র বাংলাদেশ ভিত্তিক) আওয়ামীলীগ, জাতীয়তাবাদী দল এবং জাতীয় পার্টি এমপি গণ নিজেরা কোন সিদ্ধান্তই নিতে পারেননা। শুনতে খারাপ লাগলেও সত্য সমগ্র বাংলাদেশ ভিত্তিক চারটি দলের চতুর্থটিতেই তথা জামায়াতই আভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের ব্যাপারে (দলীয় রেজিস্টার্ড/নিয়মিত নেতা কর্মী দের মধ্যে) সবচাইতে এগিয়ে ছিল। তবে যেহেতু তাদের দলটি সার্বজনীন নয় উপরন্তু সাম্প্রদায়িক, তাঁদের এই ক্যাডার ভিত্তিক “বিষয়” কোন সুফলই রাষ্ট্রে রাজনৈতিক জগতে কোনই সফলতার চিহ্ন ফেলতে পারেনি।
বড় তিনটি দলের পার্টি প্রধান যাই বলবেন তাই সিদ্ধান্ত। এমপি গণ সংসদে পর্যন্ত তাঁদের মতামত দিতে পারেননা। করলেই আসন শূন্য। কেননা “পার্টির সিদ্ধান্তের (যা মূলত পার্টি প্রধানের সিদ্ধান্ত) বিরুদ্ধে ভোট / মতামত” আর “পার্টি পরিবর্তন” একই কাতারে রেখে ফ্লোর ক্রসিং আইন করা হয়েছে।
৭০। কোন নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরুপে মনোনীত হইয়া কোন ব্যক্তি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হইলে তিনি যদি-
(ক) উক্ত দল হইতে পদত্যাগ করেন, অথবা
(খ) সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন,
তাহা হইলে সংসদে তাঁহার আসন শূন্য হইবে, তবে তিনি সেই কারণে পরবর্তী কোন নির্বাচনে সংসদ-সদস্য হইবার অযোগ্য হইবেন না।]
একজন ব্যাক্তি একই সাথে একাধিক আসনে নির্বাচন করার বৈধতা দেওয়া হয়েছে! আবার সংবিধানের ৭১ অনুচ্ছেদে বলা-
৭১। (১) কোন ব্যক্তি একই সময়ে দুই বা ততোধিক নির্বাচনী এলাকার সংসদ-সদস্য হইবেন না।
(২) কোন ব্যক্তির একই সময়ে দুই বা ততোধিক নির্বাচনী এলাকা হইতে নির্বাচন প্রার্থী হওয়ায় এই অনুচ্ছেদের (১) দফায় বর্ণিত কোন কিছুই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করিবে না, তবে তিনি যদি একাধিক নির্বাচনী এলাকা হইতে নির্বাচিত হন তাহা হইলে-
(ক) তাঁহার সর্বশেষ নির্বাচনের ত্রিশ দিনের মধ্যে তিনি কোন্ নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধিত্ব করিতে ইচ্ছুক, তাহা জ্ঞাপন করিয়া নির্বাচন কমিশনকে একটি স্বাক্ষরযুক্ত ঘোষণা প্রদান করিবেন এবং তিনি অন্য যে সকল নির্বাচনী এলাকা হইতে নির্বাচিত হইয়াছিলেন, অতঃপর সেই সকল এলাকার আসনসমূহ শূন্য হইবে;
(খ) এই দফার (ক) উপ-দফা মান্য করিতে অসমর্থ হইলে তিনি যে সকল আসনে নির্বাচিত হইয়াছিলেন, সেই সকল আসন শূন্য হইবে; এবং
(গ) এই দফার উপরি-উক্ত বিধানসমূহ যতখানি প্রযোজ্য, ততখানি পালন না করা পর্যন্ত নির্বাচিত ব্যক্তি সংসদ-সদস্যের শপথ গ্রহণ বা ঘোষণা করিতে ও শপথপত্রে বা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরদান করিতে পারিবেন না।
একাধিক আসনে নির্বাচন এরপর আসন ছেড়ে দেওয়া! এসব জনগণ এবং সংসদ নির্বাচনের সাথে তামাশা ব্যাতিত আর কিছু নয়। এসব আসলে করা হয়েছে দলীয় শীর্ষ নেতাদের সুবিধার্থে যেন বিব্রতকর অবস্থা এড়ানো যায়। অপরদিকে বাংলাদেশের এমপি গণ এবং বেশীরভাগ স্থানীয় নেতাগণ পরিণত হয়েছে উত্তর কোরিয়ার কিম পরিবার অনুগত রোবট রূপী মানবের মত।
[**অফটপিকঃ “সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল” নামক এক এক আজব সামাজিক বিজ্ঞানীয় আবিষ্কার সংসদের কাছে বিচার বিভাগের কোন দায় নেই। এমন আরও আছে যেমন “বেসিক ডেমোক্রেসিস”, “ডক্ট্রিন অফ নেসেসিটি” কিংবা “থার্ড ইউনিভার্সাল থিউরি”; এসব আসলে অনির্বাচিত সরকার বিশেষত একনায়কতন্ত্র কাগজেকলমে বৈধতা দেবার এক ব্যার্থ প্রয়াস। বাংলাদেশের “জেলার দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রী” অথবা “জেলা গভর্নর” যার মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় একনায়কতন্ত্র সৃষ্টি করা হয়েছিল বিচার বিভাগের স্বাধীনতা যেমন জরুরী তেমন জরুরি বিচারকদের অভিসংশনের ক্ষমতা অবশ্যই পার্লামেন্টের উপর থাকা উচিত।]
তবে পার্টির এসব এমপি সহ অন্যান্য নেত্রীবৃন্দ নিজেরাও কম যান না! যেমন তারা স্থানীয় পদে জগদ্দল পাথরের মত চেপে থাকেন। পার্টির জাতীয় পর্যায়ে যেমন গণতন্ত্র নেই তেমন স্থানীয় পর্যায়ে নেই।পদ পেলেই হল যতদিন পারা যায় জোড় করে ধরে থাকেন তারা। স্থানীয় পর্যায়ে কোন রাজনৈতিক পদ শান্তিপূর্ণ ভাবে বদলেছে এমন উদাহরণ খুবই কম। নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টিতে বাধা প্রদান তো আছেই। কোনভাবে উপরের পদে যে থাকে তাঁর চামচামি করে সবাই আদতে আখের গোছানোর তালে থাকে। অপরদিকে নিজেদের অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর ব্যাপারে সব সাংসদই দল-মত নির্বিশেষে নির্লজ্জ ভাবে এক মত পোষণ করেন।
এসব ব্যাপারে শুধু রাজনীতিবিদদের দোষারোপ করলে এটা তাদের উপর একপেশে দোষারোপ করা হয়ে যায়। আজকের এই অবস্থার জন্য আমরা যারা এই দেশের নাগরিক এবং ভোটার তারাও কম দোষী নয়। দেশের বেশিরভাগ মানুষ এখনো তেমন শিক্ষিত নন। যদিও আমাদের দেশের মানুষ ঐতিহাসিক ভাবেই রাজনীতি সচেতন তবে তাঁরা তারচেয়েও বেশি বেশি আবেগপ্রবণ। কেউ কোন নির্বাচনে দাঁড়ালে ভোটারদের মধ্য আজো অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হল সে কার সন্তান, এমনকি মাঝে মাঝে কারো যোগ্যতা থেকেও কার “উত্তরাধিকার” এটার গুরুত্ব বেড়ে যায়। আবার বাঙ্গালীর স্বভাবও এর জন্য দায়ী। বাংলাতে একটি প্রবাদ আছে যে “নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করা” আশির দশকে বিএনপি এবং আওয়ামীলীগে জিয়া এবং শেখ পরিবারের আগমন মূলত এর অন্যান্য শীর্ষ প্রথম শ্রেণীর নেতৃত্বের মধ্য পারস্পরিক আস্থাহীনতা এবং হিংসা বিদ্বেষ। এই অবস্থা থেকে স্বাভাবিক ভাবে মুক্ত হতে আরও কয়েক যুগ লেগে যাবে যদিনা রাজনীতিতে র‍্যাডিক্যেল কোন কিছু ঘটে।
অনুসিদ্ধান্ত
১. বর্তমানে বাংলাদেশে যা আছে তা মূলত ইলেক্টেড অটোক্রেসি। হালকা ভাবে বললে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, সাম্রাজ্য-পূর্ব প্রাচীন রোমান (প্লুটোক্রেটিক) রিপাবলিকের “কনসাল” এর চেয়েও ক্ষমতাবান। পৃথিবীর যেসব দেশে বর্তমানে মুক্ত গণতন্ত্রের চর্চা আছে বলে ধরে নেওয়া যায় সেসব দেশের মধ্য বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহীই সবচাইতে বেশি অনিরুদ্ধ ক্ষমতা ভোগ করেন। দেশের স্বচ্ছন্দ উন্নয়নের জন্য নির্বাহী বিভাগের হাতে পর্যাপ্ত “নির্বাহী ক্ষমতা” থাকতেই হবে, তবে তা কখনো অবারিত হওয়া উচিত নয়।
প্রধানমন্ত্রীর যতটুকু ক্ষমতা আইনে আছে তিনি তাই পান। কাগজে-কলমে তাকে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। তবে যেহেতু “সংসদীয় গণতন্ত্রে” আইন বিভাগ এবং নির্বাহী বিভাগ “একাকার” এবং দলের শীর্ষ নেতাই একছত্র ক্ষমতার মালিক এজন্য যে দল নির্বাচিত হয় সেই দলের নেতাই বাস্তবে একছত্র ক্ষমতার মালিক হয়ে যান। দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি এবং স্পিকারের নির্বাচন সহ অন্য সব বিষয়ে সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারেন। এজন্যই দেশে কখনোই প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবেনা যতদিন পর্যন্ত দল গুলোর অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের চর্চা না হয়।
২. রাষ্ট্র কিংবা অন্য কোন গুরুত্বপুর্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষে নারী থাকা মানে কখনই নারী স্বাধীনতা এবং নারী অধিকারের নিশ্চয়তা নয়। দেশের আপামর জনগোষ্ঠীর মধ্য ধনী পরিবার থেকে আসা নারীগণ নয়, যখন একেবারে সাধারন পরিবারের নারীগণ নিজ যোগ্যতায় শীর্ষে পৌঁছবে তখনই নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে বলে ধরে নেওয়া যাবে। তেমন ভাবে সাধারণ পরিবারের নারীদের যখন সামাজিক ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত হবে তখনই ধরে নেওয়া যাবে সমাজে নারীদের নায্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

-------------------------------------------------------------------------------------
প্রবন্ধটি ১০ই মে , ২০১৩ সালে মুক্ত-মনা ব্লগে প্রকাশিত হয়েছিল

Friday, May 03, 2013

Interview with Bangladesh Prime Minister about Working Conditions of the RMG sector of the country

COPY-PAST from the website of the CNN Website (CNN© 2010 Cable News Network. Turner Broadcasting System, Inc.)
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------

http://transcripts.cnn.com/TRANSCRIPTS/1305/02/ampr.01.html


CNN'S AMANPOUR

Interview with Bangladesh Prime Minister about Working Conditions There; Obama to Travel to Mexico
Aired May 2, 2013 - 15:00:00   ET
THIS IS A RUSH TRANSCRIPT. THIS COPY MAY NOT BE IN ITS FINAL FORM AND MAY BE UPDATED.

CHRISTIANE AMANPOUR, CNN HOST: Good evening, everyone, and welcome to the program. I'm Christiane Amanpour.

Days of unimaginable horror in Bangladesh:

(BEGIN VIDEO CLIP)

AMANPOUR (voice-over): -- the walls collapsed right on top of workers; bodies were everywhere, trapped under rubble. Hundreds of people were dead. Others were alive but missing limbs. This has been the scene since last week in Sava, Bangladesh, as a poorly constructed garment factory crumbled to the ground.

And today, with the death count at 437, bodies are still being recovered.

(END VIDEO CLIP)

AMANPOUR: Tonight I talk one on one with the leader of that country, Prime Minister Sheikh Hasina, about how this can happen and what's being done to prevent it from happening again.

Authorities quickly found and arrested the building's owner, Sohel Rana (ph), and protesters have taken to the street, calling for his execution.

The 35-year old is a member of the ruling party, the Awami League, and there are deadly serious questions about just how he was allowed to build such a shaky structure. The building was ready to fall apart and everyone seemed to know it, because a local TV station took video of cracks in the walls the night before it collapsed.

Corruption is rampant in Bangladesh's garment industry. Bribes for permits are commonplace and too many elected politicians are also business owners.

This, though, may be a moment of truth for the industry that's worth $19 billion a year, thanks to the Western appetite for cheap fashion and very cheap labor.

Even though this government has raised the minimum wage, a Bangladesh garment worker is among the lowest paid in the world, earning as little as $37 a month.

Pope Francis even called that this week "slave labor." Thirty-seven dollars is about the cost of a sweater that's sold by one of those Western retail stores.

Even as the bodies are being buried and families are grieving, workers are taking to the street to demand better rights.

So where did Bangladesh go wrong?

And what is the West's responsibility?

I'll have an exclusive interview with the prime minister.

But first, a look at other stories we're covering tonight.

(BEGIN VIDEO CLIP)

(MUSIC PLAYING)

AMANPOUR (voice-over): President Obama travels south of the border, where there is more on his plate than just guns and drugs.

And rising from the ashes after all the horror in Bangladesh, we'll show you a reason to hope.

(END VIDEO CLIP)

AMANPOUR: And we will, in a little bit. But first, my exclusive interview with the woman in charge in Bangladesh, Prime Minister Sheikh Hasina.

(BEGIN VIDEO CLIP)

AMANPOUR: Prime Minister, welcome to the program. And I obviously would like to start by offering sincere condolences for all the lives that were lost in that terrible tragedy.

SHEIKH HASINA, PRIME MINISTER, BANGLADESH: It is a very sad story, really. It's so painful. It's very unbearable.

AMANPOUR: Prime Minister, I hear your pain. And yet I also hear you say -- and you've said -- that 90 percent of these factories in Bangladesh are not up to scratch. There are only 18 inspectors for more than 100,000 factories and these kinds of buildings.

How on Earth can you get a grip on this with that crazy ratio?

HASINA: Before this incident, we adopted the labor law. Already our cabinet passed the labor law. This law will go to the parliament and we'll pass this labor law. And also the labor policy, for the first time, Bangladesh adopted this labor policy. So we are very much concerned about it and we have already taken all these steps.

But you know, in anywhere in the world, any accident can take place. You cannot, you know, predict anything, even in many developed country, we can see. Recently there was a, you know, accident in a fertilizer industry in Texas. So accidents may take place.

But as because this is a goal (ph) industry, and as because they are, you know, buyers and also the investors that are coming, Bangladesh now is a place for good condition for the investment --

(CROSSTALK)

AMANPOUR: Whoa, Prime Minister --

HASINA: -- people are (inaudible) attracted and they're coming here and they are -- yes?

AMANPOUR: Well, Prime Minister, all of that is a threat right now --

(CROSSTALK)

AMANPOUR: I am allowing you, Prime Minister. But when you say we couldn't predict it, of course you could. This factory was shown on television the very night before. There were huge cracks in the walls. The owners said, oh, no; this is just about the plaster. And the very next day the factory collapsed.

So it could have been predicted.

Who does the blame fall on then?

HASINA: Yes, you are very correct. From local administration and the industrial police stopped working in this building and they removed all the labor from the building in the previous night.

But unfortunately, in the morning, the owner of the factory, they put pressure to the labor to enter. But industrial police and the law enforcement agency and the administration, they tried to stop them.

But they said that at night, it didn't collapse, so it is -- the condition is not that bad. (Inaudible) the labor. But even then, the industrial police, time and again, they told them that the labor should not work in this condition. But that moment, the accident took place.

So it is not true that the government hasn't taken any steps. We have taken steps and we tried to prevent them.

AMANPOUR: Surely, then, that needs to be regulated because here's the facts about this man who actually owns that company.

First of all, he was a top member of the ruling Awami party, which is your party. He was the head of the youth league of that.

HASINA: No, it is not true.

AMANPOUR: Well, that is what we're told. He was a youth leader --

HASINA: No, it is not true.

AMANPOUR: -- the youth wing -- you're saying it's not true?

HASINA: No, no, no. Wrong information --

AMANPOUR: All right.

HASINA: -- and I told you that in this building, there are five garment industries, five owners. They put pressure. They sent the labor.

AMANPOUR: OK.

HASINA: It's not the -- only the owner of the building. We arrested him; you know that. We arrested him. We arrested all the owners and the engineer and all the people. We have taken all necessary action. You must consider that ,yes, we have taken all the necessary steps and we arrested them.

AMANPOUR: What will happen to him?

HASINA: And the law will take its own course.

(CROSSTALK)

HASINA: We're not going to, you know, say to him, no. The criminal is criminal. They will get all, you know, we brought to go -- so they will get all the necessary action.

AMANPOUR: All right. So you --

HASINA: (Inaudible).

AMANPOUR: -- you say that he's a criminal and the law will --

HASINA: This is our promise to the people.

AMANPOUR: OK. I'm sure they'll be delighted to hear that.

HASINA: Exactly, yes. Of course, we -- already we arrested him. Look, within this short period of time, we have taken action, legal action. We arrested him. We find cases against them. The owners of the building and also owners of the factory -- so our government, we take all necessary steps.

AMANPOUR: The problem is the people have seen this and these promises before. And they don't actually say that they believe he will be fully punished. But of course, we'll wait to see how this case proceeds.

But I want to ask you about the endemic corruption in this regard, because all the reports say that he and his family basically got this building and this property by fairly nefarious means. Then because of their high and intense political connections, people just look the other way; officials don't dare confront him. He built more floors. And this was very unstable.

And furthermore, about 10 percent of members of parliament are direct owners of these kinds of factories and businesses.

Do you not have a rampant corruption problem in this regard?

HASINA: Look, you are going to other point.

AMANPOUR: No, I'm not, Prime Minister.

HASINA: The owner of this building, I told you, in 2005, they grabbed this land and built up this building. That time, the Awami was not in power. You should mind that. You should know that. And the businesses and factory owned by people, they are the business people. Any business person, if they commit any kind of crime, our government always takes action.

We are here to solve the people, not to put in the corrupt people, at least not our government. That I can ensure (sic) you.

AMANPOUR: All right. Well, people will be very happy to hear that because, even last year, the U.S. ambassador to Bangladesh said the following:

"These developments could coalesce into a perfect storm that could threaten the Bangladesh brand in America."

I point this out because I want to know whether you're worried about retailers walking away from what is a huge industry for you.

Already Disney, which is one of the world's biggest, if not the world's biggest licenser, has said no more product from Bangladesh.

Canada is reconsidering its favorable trade status with you.

The E.U. is considering penalties and it is your largest trading partner.

This is now going to become a major economic crisis for you.

Do you agree?

AMANPOUR: About -- ?

HASINA: You are wrong. Even nobody knew. Listen, nobody knew that he was a labor leader. Nobody knew in this country that he was a labor leader.

He was killed or something happened. His dead body was recovered after four days by our law enforcement. It is his. It was our law enforcement, it is our police. Police recovered his dead body.

We didn't know that he was a union, you know, leader or anything. But we have (inaudible) for them.

Now the case is under investigation.

We feel our responsibility. So this blame game should not be there.

AMANPOUR: All right. Well, you know what, you say we don't know about it, but the secretary of state of the United States of America comes to Bangladesh and asks your government to investigate. All right. Now you've talked about that and you say that you care for your people and your workers.

HASINA: It -- the investigation is going on.

AMANPOUR: OK.

HASINA: Listen, listen, the investigation is going on.

AMANPOUR: I guess I want to know whether you feel that Bangladesh, your government, other governments, should now be more careful about labor, should allow them to organize so these kinds of terrible things don't happen again.

And I want to ask you, in that regard, what your reaction is to what the pope himself said yesterday, publicly.

He said, "Not paying a just wage, not providing work, focusing exclusively on the balance books, on financial statements, only looking at making personal profit, that goes against God."

And he called the Bangladesh labor force "slave labor." That is the pope saying that.

What is your reaction to that?

HASINA: On behalf of our labor, I myself sometimes bargain with the owner so that our labor can get good salary and good condition.

And from our government, we have already passed one project to build up dormitories and hostels for our labor. We ensure there are health care and other facilities. So in our country, yes, it's a poor country. People come to work.

But our government -- I can't say about other governments. But I can tell you about my government. We are always in favor of labor and there better conditions should be ensured. And we are always considered that.

AMANPOUR: Prime Minister, there does seem to be a tremendous lack of transparency. And I say this because CNN has not been allowed to come into Bangladesh to report all of this. And frankly, to see all the things that you're saying, it would be good if we were allowed to do that. And nor are other international news organizations either. Your authority --

(CROSSTALK)

HASINA: I'm sorry; CNN was not allowed to come to Bangladesh?

AMANPOUR: No. No, and I would ask you right now please to change that.

HASINA: No. What did you say?

AMANPOUR: I did say that. CNN is not allowed to come to cover this story --

HASINA: No. I'm sorry.

AMANPOUR: No, ma'am --

HASINA: What did you say?

AMANPOUR: I said CNN and other international organizations have not been allowed to come to Bangladesh as journalists to cover this story. They have put very draconian conditions on (inaudible) --

HASINA: No, it is not true.

AMANPOUR: It is true.

HASINA: No, no, no.

AMANPOUR: Yes, yes, it is true.

HASINA: No, no, Bangladesh is a free country.

AMANPOUR: Ah. We were told that.

HASINA: No, listen, in our country, we have private television.

No, tell me one thing. If it is prevented, then why I am talking to you?

AMANPOUR: No, because I'm not there.

(CROSSTALK)

HASINA: (Inaudible) to talk to you.

AMANPOUR: Prime Minister, I'm not there.

HASINA: If we -- if we prevent you -- no, no. If we prevent CNN, then why I am talking to? (Inaudible). You were stopped; you don't publish it. If you mean that, that we didn't allow CNN to come to Bangladesh, then you should not publish my interview.

AMANPOUR: Well, I'll tell you what, our CNN authorities and our journalists have been told that they must sign waivers, sign papers -- and I'll read you what they've been told.

These officials say they have the right to review, confiscate (inaudible) --

(CROSSTALK)

HASINA: Listen any country, if you enter -- no, let us start -- no. I don't know about it. But yes, of course, there are some rules and regulations. Each and every country they have these rules and regulation. And everybody should follow that.

We lost our people. I do politics for these people, this labor, so each and every life is very precious to me. And I personally feel sorry for them, that who lost their nearest and dearest one. And they are my responsibility. So I have to look after them.

And we are doing it.

AMANPOUR: Prime Minister, thank you very much for joining me.

HASINA: Thank you very much. (END VIDEO CLIP)
.
.
.
.

AMANPOUR: And of course, we will pursue the prime minister's invitation to send our reporters and camera people to Bangladesh to cover this really vital story.

And just how much would it cost to bring Bangladesh's garment industry up to Western standards? According to the Workers' Rights Consortium, it would mean an investment of $3 billion over five years. That sounds like a lot, but it's only 10 cents more per garment.

And after we take a quick break,
.
.
.


AMANPOUR: And after a break, we'll return to Bangladesh. Earlier we showed you the horrific images from that recent building collapse. But there is another more hopeful face to that troubled country. And we'll bring it to you when we come back.

(MUSIC PLAYING)

(COMMERCIAL BREAK)

(MUSIC PLAYING)

AMANPOUR: And finally tonight, just earlier we saw Bangladesh grieving in the wake of a tragic and preventable catastrophe. But imagine a world where Bangladesh is also a symbol of hope.

Back in 1979, the former U.S. secretary of state Henry Kissinger famously labeled the new nation of Bangladesh "a basket case," wracked by storms, famine, a blighted economy and a dysfunctional government.

Today, it remains one of the most densely populated countries on Earth, 164 million people crammed into a nation the size of New York State. But family planning has made people's lives significantly better.

Unlike China, which enacted a one-child-per-family policy, Bangladesh provided free birth control and sent volunteers throughout the country dispensing contraceptives and counseling. And the results are startling.

In the 1970s, the average Bangladeshi woman bore six children. Today, the number has been cut in half, and so has the mortality rate for mothers; 95 percent of all children are being vaccinated. Bangladesh is still poor and overcrowded, but even in the face of unbearable tragedy, there are signs of hope and progress.

And that's it for tonight's program. Meantime, you can always contact us on our website, amanpour.com. Thanks for watching and goodbye from New York.

END
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

Tuesday, March 26, 2013

বাংলাদেশে টর্নেডোর ইতিহাস


সাধারন টর্নেডো চিত্র - ছবি সূত্র 

কিছুদিন আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভয়াবহ টর্নেডো হয়ে গেল। ৩১ জনেরও বেশি মানুষ এই পর্যন্ত মৃত্যুবরন করেছেন, আহত হয়েছেন ৫০০ জনেরও বেশি এবং কোটি কোটি টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে।

খুব স্বাভাবিক ভাবেই এর কোন পূর্বাভাস কেউ দিতে পারেননি। ভূমিকম্পের মত টর্নেডো তেও এখনো কোন পূর্বাভাস দেওয়া খুবই কষ্টকর এবং বিজ্ঞানীরা এটা নিয়ে গবেষণা করে যাচ্ছেন ।

পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকা টর্নেডো হলেও সবচাইতে পরিচিত (টিভি এবং সিনেমার বদৌলতে) যুক্তরাষ্ট্রের গ্রেট প্লেইনের টর্নেডো। সেখানে সাধারণত একটি সিজনে টর্নেডো বেশি হয়। তাছাড়া ইউরোপ, দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকার দক্ষিণ অংশে এবং দক্ষিণ এশিয়ার দক্ষিন-পূর্ব অংশে টর্নেডো বেশি দেখা যায় । তাছাড়া অন্যান্য এলাকাতেও হতে পারে।

বিশ্বের টর্নেডো প্রবন এলাকা - 


ছবি সূত্র 


বাংলাদেশে টর্নেডো প্রবন এলাকা - 


ছবি সূত্র 


যাই হোক, অনেকের কাছে অজানা হলেও বাংলাদেশে টর্নেডো মোটেও নতুন দুর্যোগ নয়। ব্রাক্ষনবাড়িয়ায় টর্নেডো হলে অনেক বিশেষজ্ঞ বলেছেন এটা বাংলাদেশের জন্য বিরল কিংবা জলবায়ুর পরিবর্তনের লক্ষণ ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু সত্য হল বাংলাদেশে টর্নেডোর ইতিহাস বেশ পুড়নো। বাংলাদেশে বন্যা কিংবা ঘূর্ণিঝড়ের মত টর্নেডো একটি সিজনে প্রতিবছর হয়না বলে সাধারণ মানুষের কল্পনায় এটা থাকেনা। বাংলাদেশে ভূমিকম্পও তেমন; যদিও সমসাময়িক কালে এটা নিয়ে বিপুল প্রচার হচ্ছে।

দুঃখজনক কিছু আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ এসব নিয়ে সঠিক তথ্য দিতে পারেননা। আসলে বাহিরের দেশ তথা আমেরিকা এবং জাপানের আবহাওয়া, বায়ুমণ্ডলীয় কিংবা ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা থেকে ফ্রি তথ্য পেতে পেতে তারা কোন মাথা খাটানোর প্রয়োজন মনে করেননা। তাছাড়া এই আবহাওয়া-ভূতাত্ত্বিক জরিপ এবং তদ সংলগ্ন বিষয়গুলো যেকোনো দেশের সামরিক বাহিনীর অন্যতম জরুরী কাজ হলেও তাদের পুলিশি দায়িত্ব কিংবা অজাতিত রাজনৈতিক ব্যাপার চিন্তা করতেই দিন শেষ। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের "আবহাওয়া অধিদপ্তর", "প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়" এবং "ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর" "বিদ্যুৎ, জ্বালানী এবং খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়" এর অধীনে কাজ করে।

আরেকটা ব্যাপার, বাংলা উইকিপিডিয়াতেও এই বিষয়ে তথ্য ঠিকমত পরিবেশন করা নাই!!! আসলে নিজে না ভুগলে বাঙ্গালীর যে হুশ হয়না কথাটা সম্পুর্ন ভুল নয়া! বেশিরভাগ তথ্যই আমেরিকা কেন্দ্রিক। এটা যেহেতু বাংলায় লেখা, খুব স্বাভাবিক ভাবেই এই অঞ্চলের তথ্যর প্রাধান্য না থাকলেও অন্তত কিছু থাকা উচিত। বাংলা উইকিপিডিয়ার এই "টর্নেডো" ভুক্তির লেখকবৃন্দ বাংলাদেশের তথ্য দূরে থাক; বাংলাদেশের জন্য কোন সূত্রও উল্লেখ করেননি । আশা করি তাড়াতাড়ি এটা সম্পাদনা করা হবে।



ট্রপিক্যাল সাইক্লোন (হারিক্যান/টাইফুন) এবং টর্নেডোর মধ্য সাধারণ পার্থক্য –
ট্রপিক্যাল সাইক্লোন তথা হারিকেন কিংবা টাইফুন হল ক্রান্তীয় অঞ্চলের সমুদ্রে সৃষ্ট বৃষ্টি, বজ্র ও প্রচন্ড ঘূর্ণি বাতাস সম্বলিত আবহাওয়ার একটি নিম্ন-চাপ প্রক্রিয়া যা নিরক্ষীয় অঞ্চলে উৎপন্ন তাপকে মেরু অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত করে। এই ধরনের ঝড়ে বাতাস প্রবল বেগে ঘুরতে ঘুরতে ছুটে চলে বলে এর নামকরণ হয়েছে ট্রপিক্যাল সাইক্লোন। ট্রপিক্যাল সাইক্লোনের ঘূর্ণন উত্তর গোলার্ধে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে ঘড়ির কাঁটার দিকে।
টর্নেডো হল বায়ু-স্তম্ভের আকারে সৃষ্ট প্রচণ্ড বেগে ঘূর্ণায়মান ঝড় যা মেঘ এবং পৃথিবীপৃষ্ঠের সাথে সংযুক্ত থাকে। টর্নেডোর আকৃতি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এটি দৃশ্যমান ঘনীভূত ফানেল আকৃতির হয়, যার চিকন অংশটি ভূপৃষ্ঠকে স্পর্শ করে এবং এটি প্রায়শই বর্জ্যের মেঘ দ্বারা ঘিরে থাকে।
ট্যাকনিক্যালি, টর্নেডো, হারিকেন, টাইফুন, ট্রপিক্যাল সাইক্লোন সবই সাইক্লোন। আবার হারিকেন, টাইফুন এবং ট্রপিক্যাল সাইক্লোন সবই এক কিন্তু একেক জায়গায় একেক নামে ডাকা হয়। আবার পপুলার ভাবে সাইক্লোন বলতে এখন শুধু ট্রপিক্যাল সাইক্লোন, হারিকেন, টাইফুনকে বোঝানো হয়; যেমন, বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়ায় ট্রপিক্যাল সাইক্লোন শুধু সাইক্লোন নামেই বেশি পরিচিত তেমনি আমেরিকায় হারিকেন এবং পূর্ব এশিয়ায় টাইফুন নামে পরিচিত।
সহজ ভাবে,
* ট্রপিক্যাল সাইক্লোন কয়েকশ মাইল বিস্তৃত, টর্নেডোর বিস্তৃতি সাধারণত এক মাইলের কম।
* ট্রপিক্যাল সাইক্লোন সমুদ্রের উষ্ণ জলরাশির উপর গঠিত হয়, টর্নেডো স্থলভাগে গঠিত।
* ট্রপিক্যাল সাইক্লোন কয়েকদিন হতে কয়েক সপ্তাহ ব্যাপী স্থায়ী, টর্নেডো স্বল্প সময় ব্যাপী সাধারণত ২-৩০ মিনিট হতে সর্বোচ্চ ১ ঘণ্টা (খুবই বিরল)।
* ট্রপিক্যাল সাইক্লোন বায়ু মণ্ডলের স্বাধীন সিস্টেম, টর্নেডো স্বাধীন সিস্টেম নয়।
* ট্রপিক্যাল সাইক্লোন বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৭০ থেকে ১৬০ মাইল হতে পারে, টর্নেডোতে বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৩০০ মাইল হতে পারে।
* ট্রপিক্যাল সাইক্লোনে ধ্বংসের মাধ্যম বাতাস, বৃষ্টি, বন্যা, বাতাসের সাথে উড়ে আসা বস্তু, টর্নেডোতে ধ্বংসের মাধ্যম বাতাস, বাতাসের সাথে উড়ে আসা বস্তু।
* ট্রপিক্যাল সাইক্লোন সাধারণত খুব ভালো ভাবেই পূর্বাভাস দেওয়া যায়, টর্নেডোর পূর্বাভাস দেওয়ার কার্যকরী পদ্ধতি এখনো সেরকম উপযোগী হয়নি ।
ট্রপিক্যাল সাইক্লোন এবং টর্নেডোর মধ্য আরও অনেক কারিগরি পার্থক্য আছে, তবে তা এই পোস্টের স্কোপের বাহিরে।

পৃথিবীর তালিকাভুক্ত সবচাইতে ধ্বংসাত্মক ১০ টির মধ্য ৫ টিই এদেশে হয় এবং ৪০ টির ১৮ টিই এই অঞ্চলে হয়!!! তাছাড়া ১৮০০ শতাব্দীর আগেও অনেক টর্নেডো হয়েছিল যার লিখিত তালিকা ইউরোপ ছাড়া অন্যান্য অঞ্চলে নেই।

সবচাইতে মারাত্মক ১৫ টি টর্নেডো (উল্লেখ্য, টর্নেডোর তীব্রতার দিক থেকে নয়, ধ্বংসযজ্ঞ এবং প্রানহানির দিক থেকে) - 


মৃত্যু এবং আহতের তালিকা আনুমানিক (সর্বনিম্ন) এবং স্থান হিসেবে জেলা কিংবা অংগরাস্ট্র উল্লেখ করা হয়েছে।

০১. মানিকগঞ্জ – বাংলাদেশ – ১৯৮৯/০৪/২৬ – মৃত্য ১৩০০ – আহত ১২০০০।

০২. ঢাকা – বাংলাদেশ - ১৯৬৯ /০৪/১৪- মৃত্যু ৯২৩ – আহত সঠিক তথ্য নেই

০৩. মিসৌরি, ইলিনয়, ইন্ডিয়ানা – মার্কিন যুক্তরাস্ট্র – ১৯২৫/০৩/১৮ – মৃত্য ৬৯৫ – আহত ২০২৭

০৪. মানিকগঞ্জ এবং নবাবগঞ্জ – বাংলাদেশ – ১৯৭৩/০৪/১৭ – মৃত্যু ৬৮১

০৫. ভেলেটা – মাল্টা – ১৫৫১-০৯/২৩ – মৃত্য ৬০০ - আহত সঠিক তথ্য নেই

০৬. মাগুরা এবং নড়াইল – বাংলাদেশ – ১৯৬৪/০৪/১১- মৃত্য ৫০০থেকে ১৪০০ – আহত সঠিক তথ্য নেই

০৭. সিসিলি – ইটালি – ১৮৫১ /-- / ১২ – মৃত্য ৫০০ - আহত সঠিক তথ্য নেই

০৮. মাদারীপুর – বাংলাদেশ -১৯৭৭/০৪/০১ - মৃত্য ৫০০ - আহত সঠিক তথ্য নেই

০৯. ইভানভো এবং ইয়োরোস্লাভ – রাশিয়া – ১৯৮৪/০৬/০৯ - মৃত্য ৪০০- আহত ২১৩

১০. মিসিসিপি – যুক্তরাষ্ট্র – ১৮৪০/০৫/০৬ – মৃত্য ৩১৭-আহত ১০৯

১১. পশ্চিম বঙ্গ – ভারত – ১৯৬৩/০৪/০৯ - মৃত্য ৩০০ - আহত সঠিক তথ্য নেই

১২. বরিশাল – বাংলাদেশ – ১৯৭২/০৪/২৯ – মৃত্য ৩০০ - আহত সঠিক তথ্য নেই

১৩. কুমিল্লা – বাংলাদেশ – ১৯৬৯/০৪/১৪ – মৃত্যু ২৬৩ - আহত সঠিক তথ্য নেই

১৪. মিসৌরী – যুক্তরাষ্ট্র – ১৮৯৬/০৫/০৭ – মৃত্য ২৫৫ – আহত ১০০০

১৫.উড়িষ্যা এবং পশ্চিম বঙ্গ – ভারত – ১৯৯৮/০৩/২৪ - মৃত্য ২৫০ - আহত সঠিক তথ্য নেই

বাংলাদেশে পূর্বে সংঘটিত টর্নেডোর তালিকাঃ 

১৮৫৩ সাল হতে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ এবং আশেপাশের এলাকায় সংঘটিত টর্নেডোর তালিকা 

বাংলাদেশে সংঘটিত টর্নেডো বিষয়ক কার্যকরী এবং তথ্যবহুল ওয়েবসাইট - 

১. Bangladesh and East India Tornado Prediction Site by : Jonathan D. Finch 

২. Tornados in Bangladesh and East India - Jonathan D. Finch and Ashraf M. Dewan 

অন্যান্য প্রয়োজনীয় ওয়েবসাইটঃ

১. TORNADO PROJECT ONLINE 
২. NATIONAL SEVERE STORMS LABORATORY 

বেসামরিক সরকারী সংস্থাঃ

১.বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর 
২.বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর 
৩.National Oceanic and Atmospheric Administration 
৪.U.S. Geological Survey 

উইকিপিডিয়াঃ

১.টর্নেডো - ইংরেজি 
২.টর্নেডো - বাংলা 
৩.পূর্বে সংঘটিত টর্নেডোর তালিকা 
৪.সবচাইতে মারাত্মক ৪০ টর্নেডো


                             ------------------------------------X-------------------------------

প্রবন্ধটি ২৬শে মার্চ, ২০১৩ সালে মুক্ত-মনা ব্লগে প্রকাশিত হয়েছিল

Monday, March 04, 2013

Implicit Causes of the Shahbag Rallies




Many people, who are not acquainted with the history and sociopolitical aspects of Bangladesh, are becoming bewildered by hearing the news of the protesters of the Shahbag rally, who are demanding capital punishment for people convicted of war crimes, crimes against humanity and genocide committed during the 1971 war of independence from Pakistan.
They are asking,
1. Why are protesters asking to hang a convict when he already has got life imprisonment as punishment?
2. Why are protesters demanding for death sentence for other accused when their cases sub judice?
Life imprisonment is the most stringent sentence for any types of crime in some countries. To their perspective, demands of the protesters are too harsh and somewhat detrimental to the judicial system.
Background
The crimes committed by the accused were indubitably one of the most heinous act of the last century vie with the genocides of Germany, Cambodia or Rwanda. It was on simple sense a crime against humanity. Pakistani authorities were so insolent that it didn’t even bother to keep their real intentions in camera. West Pakistanis, especially Punjabis had racial aversions towards the Bangalis. Bangalis were being deprived of every aspects of life. In the war of 1971 a senior leader of Pakistani government bragged that, it needed only land but not necessary its people.
Liberation of the Bangladesh was not merely instigated by a group of separatist but the aspiration of its mass. Very few people were disinclined to support the causes of the liberation of this land. Pakistani military government picked some of them. This group called themselves Rajakar. Razakars were in effect the auxiliary of the Pakistani forces created by the gubernatorial ordinance and later became a part of the Pakistan Army. Along with Razakar Forces, there were other two unofficial but much more malevolently efficient paramilitary forces called Al Badr and Al Shams. Technically, they were not part of the government forces but worked closely with them. Their reputations were much more iniquitous than larger Razakar Forces. Apart from these three parties, there were two other groups called “Peace Committee” consisted of influential senior citizen and intellectuals, sympathetic to Pakistani junta and “Al Mujahid” consisted of non-Bengali Biharis. Most of the members of the “Peace Committee” and Razakar and nearly all of the members of Al Badr and Al Shams worked under the umbrella of Jamaat-e-Islami or simply Jamaat, who itself was the member of the provincial government of East Pakistan then a part opposing forces of the Bangladesh. Some of Jammat’s leaders hold several posts of the East Pakistan’s provincial cabinet. However, anyone collaborated with the Pakistani authority or opposed the causes of war of the independence are now popularly known as simply “Razakar”, irrespective of their affiliation.

It had planned systematically with the Pakistani military forces for ethnic cleansing of Bangali, ransacked all over the country, murdered and raped innocent people including minors and supplied women to the Pakistani forces for pleasure during the war. During the twilight of the demise of Pakistani authorities in Bangladesh, members of the Jammat had killed thousands of civilian intellectuals with the help of Pakistani forces.
Bangladesh had achieved victory in December 16, 1971 after nine month of the declaration of independence. After the war, most of the common sympathizer or supporters among the Razakars (excluding the war criminals) of Pakistan had been granted a general amnesty in an effort of reconciliation. Jamaat-e-Islami as a party, had been banned by the government of the newly independent country due to their institutionalize genocide during the war and conspiracy against the nation and country by collaborating with the enemy forces. Some of its top brasses who were also war criminals had been disenfranchised and brought to the justice. Some of them simply fled the country right after or before the war, apprehending the imminent defeat. Somehow, most of the convict had succeeded to elude the justice during the unprecedented political turmoil after the fall of BAL.
Jammat began to enter in the political arena slowly but steadfastly in the middle of the 1970s. Some of its leaders who had fled the country returned within this time. It had taken every opportunity to manipulate the political vendetta among the national parties like BAL (Bangladesh Awami League), BNP (Bangladesh Nationalist Party) or JP (Jatiya Party) and other lesser leftist and religious parties. By the end of the political turmoil, during the dawn of the democracy in the country for the first time in 1991 since February 24, 1975, Jammat had succeeded to establish themselves as the fourth largest party in the nation. Never in the history of modern nation-state has a party who opposes its very birth managed to function freely even without changing its original motto, let alone taking part in the national election.
It had planned meticulously to breed new generation of supporters by sponsoring and coach young students to enroll on the colleges or graduate school in the home and abroad. Jammat does not have large scale general or floating supportive base but a group of hardcore followers and their family members. Indeed, it’s a grim reality that the Jammat is relatively much more democratic within itself than the major parties like BAL, BNP or JP. As in these days, it seems it has managed to manipulate the small religious based parties on the ground of religious derogatory remark said to be (by the Jammat supporter) commented by some protesters from the Shahbag. Ironically, these religious parties are among the staunch opponent of Jammat on the issues of religious school and function.
Jammat also had patronized business enterprises, which are among the most richest and efficient in the Bangladesh. It would not be an overestimation that there would be some sorts of pecuniary influence to create new supporter.
TIME LINE - MATTER of WAR CRIME
(1971-1975)
In 1973 Bangladesh government took an initial step for the first time to try the Pakistani war criminals by passing International Crimes (Tribunals) Act (ICT Act 1973).
195 personal (initially 1100 personal) of Pakistani military had been accused of war crime with nearly thousands of their Bengali collaborators. In response, Pakistani government took a mean retaliatory action and detained about 203 person among the hundreds of thousands trapped Bengali in the West Pakistan. This 203 person had nothing to do with the war or any other illegal activity but they were falsely charged to make just a bargaining stuff. Later, 195 Pakistani had been handed over to the Pakistani government on the ground that it themselves would bring them to justice for war crime. Though Pakistan had consented with the condition during the exchange but never acted accordingly. It seems Pakistani government itself acted like a typical “hostage taker” and Bangladesh had to negotiate release of its innocent citizen which was unprecedented in the international arena.
However, several months before passing ICT act, in 1972, BAL government set up a special tribunal (Bangladesh Collaborators Orders, 1972) to try local war criminals of the 1971 war of independence. For the ease of Trial, First amendment had been incorporated with the constitution in 1973.
In total, initially, nearly 37 thousand Bangladeshi collaborators of Pakistan had been brought to justice under the Special Tribunal. But later most of them (about 26 thousand) had been pardoned except the serious criminals (accused of genocide, rape, ransacking, homicide, molestation etc). By the 1973-74, 773 people were convicted and begun to serve various prison sentences; some of them sentenced to death. Nearly 11 thousand people were still facing trials. But in late 1975, after the changing of the national political scene, the law had been abolished altogether by the new President. Special Tribunal itself became void including all of its past judgments. All of the accused including the convicts of serious crimes who were already been sentenced to prison for days had been acquitted overnight. In that turbulent year, a new president had come to the power for the third time.
(1976-1991)
Abolition of war crime tribunal was a political decision. Nevertheless, this controversial decision was always under scrutiny. The demand to bring the war criminal to the justice had never died among the people. Though there were no national scale movements at that time, nevertheless, this matter was frequently discussed in print media in home and abroad. In 1979 BNP had been elected for the first time to form government but in 1982 BNP government had been toppled and a new government (loosely precursor of the JP) took office. BAL and BNP worked with Jammat in various ways to except JP. JP lost power in 1990 and handed over it to a caretaker government who facilitated a democratic election in 1991; BNP won in the election.
(1992-1994)
In 1991 Jammat took a very controversial decision. May be it was a sheer silliness or an inordinate hubris but obviously a political faux pas. It had officially selected the epitome of the war criminal and a former member of the “Peace Committee” of 1971 war of independence as their Amir (leader/chairman). He was disenfranchised after the war and one of the ring leader of Jammat and accused of war crime. However, He had succeeded to flee the country before the ending of the war and came back after the cessation of the BAL government in the 1978 and got his citizenship back in 1994. Even after the independence of Bangladesh, he had appealed several foreign countries not to recognize Bangladesh. Jammat’s decision had seriously offended the majority of citizen. However he retired in 2000, passing his post to another accused of war crime, a former leader of Al-Badr.
In 1992, for the first time since 1972-73, question on the war crime tribunal had been raised nationally. It was raised by a group of people led by a mother of a freedom fighter and supported by intellectuals, former freedom fighters and hundreds of thousands of people. They (hosts and initiators) collected petition signatures and presented memorandum to BNP (elected in 1991) government to facilitate war crime trial. However, though the primary aim was not achieved at that time, it had created a far reaching notion of awareness of justice.
(1995-2008)
By this time a strong general consensus had been developed in the mind of the people. Both BAL and BNP government had not initiated anything to prosecute the war criminal for their political gain. Since 1992, demand to facilitate war crime tribunal had got a new ebullience. Several groups of people like former freedom fighters and their descendants and conscious people had supported it. BAL and BNP used Jammat politically and Jammat took this opportunity to their favor. In 1996 BAL and Jammat worked together to defeat BNP. The elected BAL government in 1996 didn’t conform to the demands to set tribunal. On the other hand, in 2001 BNP and Jammat worked together to defeat BAL during the national election. During the 2001 BNP led government it had managed to secure two cabinet portfolios for the first time. In the meantime Jammat became a permanent strategic partner of BNP. Before the election of 2008, BAL declared the regeneration of war crime tribunal as a mandate. Ironically from 2008 JP became a strategic partner of BAL. BAL-JP and BNP-Jammat alliances also have numerous
small parties.
(2009-2013 and on…)
Processing and Trialing -
In 2008 “The War Crimes Fact Finding Committee” has been established to find the war criminal with evidence. It has listed 369 former members of Pakistan military, 852 former members of Razakar Forces, 64 members from al-Badars and Al Shams, 78 members of the Bihari community an Al mujahir. It also include several hundreds other political collaborators and members of the Peace Committee. In total it had submitted 1597 names as war criminal in 2010.
In 2009, a bill had been passed in the House of the Nation to set up The International Crimes Tribunal (ICT). It had been set up in 2010, in accordance with international law. After passing the Law, it had been amended for two times, in the same year of 2009 and 2013.
In total, initially 10 people (9 current leader of Jammat and 1 former leader) had been indicted and three of them have been sentenced so far. Other cases sub judice till now.
Shahbag -
The rallies at the Shahbag in Dhaka were sparked on February 5, 2013 after Jamaat’s assistant secretary general was sentenced to life in prison for genocide and other atrocities. Comparing to another verdict, announced in the January 21, in which the convict had been sentenced to death in absentia who is guilty of numerically (not by degree) much less atrocities. It creates somewhat riddle among the general population. Most of them think that there is a subtle irregularity. Capital punishment is the highest penalty in the Bangladesh. Protesters considered life imprisonment is too mild for a convicted war criminal.
However verdict of another accused has been given today, February 28 and he is sentenced to death.
Concurrent Situation
Controversy towards the Judicial Systems itself -
Lots of first degree murderers have been granted presidential pardon for the political reasons during the both BAL and BNP government, without the consent of the victim’s family member. Members of the rich families often evade justice after committing crimes by bribing authorities and political leaders. Many people also evade justice for political consideration. There is a strong possibility of pardoning some of the influential and financially savvy war criminals and making fun of the “rule of law” in near future if they were sentenced to life imprisonment instead of capital punishment. Two judges of the ICT (Bangladesh) resigned from the post so far for different controversy.
Controversy of shunning some individuals -
Though, no one has wrongly been listed by the War Crimes Fact Finding Committee. However, there are also some allegations that some war criminals have not been listed by the committee, let alone recommending to bring them to the justice by this tribunal because of their present political, financial relation or family relationship with the top leadership with the ruling party.
Criticism of ICT by the main opposition Party -
Main opposition party BNP accused BAL uses this tribunal for its political gain or motivation. It is acting with suspicion. They also questioned why BAL didn’t initiate this trial in the 1996 when they had been elected to govern Bangladesh for the first time after 1975. BNP thinks the Shahbag rally itself is backed by BAL to divert the conscientious of general population from the question of caretaker government.
Criticism of ICT by Jamaat-e-Islami -
Jammat rejects the tribunal altogether. It claims that it is being unjustly tried and, indeed, a victim of BAL’s master plan to retain power. It is also arguing that their seven accused leader and two convicted leaders are innocent. It is saying that there are not enough evidences of their “said” crimes. It is also claiming that accusations of the plaintiffs and witnesses have no viable bases after forty years of the war.
Criticism of ICT abroad -
International organizations seem to be reproachful for the retroactive second amendment of laws passed in 2013, after the Shahbag protest. They think it undermines the legitimacy of the trial itself. Some people also criticize the absence of foreign judge among the judges of ICT, Bangladesh. Nevertheless, foreign countries have not officially commented anything about this till now. Some says that ICT itself is deeply problematic, riddled with questions about the independence and impartiality of the judges and fairness of the process.
Cogitation of the ruling party -
The ruling party BAL claims that, the tribunal is taking place in accordance with the international law. It thinks that defendants are getting somewhat much more than the international standard privilege in some legal matters. It also thinks that it is in fact exempting the nation from forty years of liabilities by facilitating International War Crime Tribunal to bring the accused before justice.
Overall causes of supporting openly for capital punishment
public scrutiny
1. The seriousness of crime of the accused.
2. De facto influences on judicial system in the Bangladesh from outside (politically or financially)
3. Apparently ambiguous and somewhat contradictory verdict between two separate cases.
4. Injudicious and partisan mentalities of the political leaders, even in the matters of national interest.
5. Rightful suspicion towards the political parties by the people.
6. General disbelief towards the group of individuals who hold the important designation of all branches of the state.
Criticism of Shahbag Rallies -
Shabagh rally itself is not out of criticism. Some argue that it is not completely non-partisan and backed by the ruling party as mentioned above. Some people think that the demand of capital punishment is not enough, other issues must be added like “corruption” or “banning of politics in the name of religion”. On the other hand some sees the rally as a hardcore right wing protest. Some even think that the slogan to demand of capital punishment is violent. Some think that some of rallies demand is impediments to religious freedom and religion is offended seriously from there.
Prime Aspiration of the People
Nevertheless, protesters of the really want to see justice. They want to ascertain the justice. Principal causes of the Shahbag rally have spread across the country and gets widespread support of the citizen. The aspiration of seeing the capital punishment of the war criminals comes out of the long cherished hope to see the rightful imposition of justice. The primary concern is the “prevailing of justice” not the “death sentence” itself.